কলকাতা : বিজেপি আমাকে যা ইচ্ছা করতে পারে....আর, নিজেদের চালচলন যদি আমূল সংস্কার না করে তা হলে পশ্চিমবঙ্গে  দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী। এক লাইনে সরাসরি চ্যালেঞ্জ....! আরেক লাইনে, না পাল্টালে করুণ পরিণতির ভবিষ্যদ্বাণী!
রাজ্য বিজেপির উদ্দেশে দলেরই বর্ষীয়ান নেতা, তথাগত রায়ের এই হল নতুন তোপ! আক্রমণ থামাচ্ছেন না তথাগত! আর ব্যবস্থা নিতে পারছে না দলও! আর যার জেরে, তাঁর করা চাঞ্চল্যকর ও বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে! তথাগত রায় বোমা ফাটিয়ে বললেন,  এখনও যেটা বলছি, সেটা হল--- নির্বাচনের টিকিট বিতরণের ব্যাপারে অর্থ এবং নারী একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে... এটা আমার কাছে নিশ্চিত খবর আছে... সত্য কখনও চাপা থাকে না। 
দল অস্বস্তিতে পড়ুক কিংবা তাঁর যতই সমালোচনা হোক না কেন, তথাগত রায় যে তাঁর এই অভিযোগ থেকে বিন্দুমাত্র সরতে নারাজ, তা স্পষ্ট করে দিয়ে বৃহষ্পতিবার ফের ট্যুইট করে তিনি লেখেন, বিজেপির শুভানুধ্যায়ীরা বলছেন, টাকা ও নারী নিয়ে আমার অভিযোগ প্রকাশ্যে নয়, দলের ভিতরে করা উচিত। আমি সবিনয়ে জানাই, সে সময় পেরিয়ে গেছে। বিজেপি আমাকে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। কিন্তু নিজেদের চালচলন যদি আমূল সংস্কার না করে তা হলে পশ্চিমবঙ্গে  দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী।







বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায় ২০০২ থেকে ২০০৬ অবধি রাজ্য বিজেপির সভাপতি। বিজেপির উচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি অর্থাৎ বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির ১৩ বছরের সদস্য। ত্রিপুরা...মেঘালয়...অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্য তাঁকে রাজ্যপাল নিয়োগ করেছিল মোদি সরকার।  বিজেপির এহেন গুরুত্বপূর্ণ ও বর্ষীয়ান নেতা, লাগাতার বিধানসভা ভোটের টিকিট বণ্টনে নারী ও অর্থের ভূমিকার অভিযোগ করে চলেছেন! আর বিজেপির নেতৃত্ব প্রকাশ্যে তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। 

আরও পড়ুন :


তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা আমন্ত্রিত হলেও ব্রাত্য স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক, কোচবিহারে রাসমেলার উদ্বোধনে বিতর্ক



এ প্রসঙ্গে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। যেদিন থেকে ওরা বাংলাকে না জেনে না বুঝে ধর্মীয় মেরুকরণ করার চেষ্টা করেছে, সেদিনই মানুষ বুঝে গেছে। তাই তথাগত রায় যা বলেছেন, সেটাই ঘটতে চলেছে।
সামনে পুরভোট। তার আগে তথাগত রায়ের ক্ষোভ কীভাবে প্রশমিত করবে বিজেপি? শাস্তিমূলক ব্যবস্থা? না কি তাঁর অভিযোগে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ? উত্তর দেবে সময়ই।