গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা :  দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নাবালিকাকে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে মৃত নাবালিকার আত্মীয় হাবিবুল্লা লস্করকে। সোমবার তাকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, নদীতে খেলা করছে বনের রাজা, একসঙ্গে দেখা মিলল ৩টি বাঘের ! বিরল দৃশ্য ধরা পড়ল সুন্দরবনের এক বাসিন্দার মোবাইলে

Continues below advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসের দিন খেলতে বেরিয়েছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রী। এদিকে ওই নাবালিকা খেলতে বেরিয়ে আর ফেরেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি চললেও কোনও হদিস মেলেনি। পরদিন ভোরে বাড়ি থেকে দূরে ঝোপের আড়ালে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় তার দেহ। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় এবং খুনের তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে পুলিশ পেশায় এক দর্জিকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে অপরাধ স্বীকার করে বলে পুলিশ দাবি করেছে। কীভাবে নাবালিকাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং ঘটনার সময় আর কেউ যুক্ত ছিল কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ধৃতকে হেফাজতে রেখে দ্রুত তদন্ত শেষ করে দ্রুত চার্জশিট জমা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে মামলার নিষ্পত্তি দ্রুত সম্ভব হয়।

রক্ষকই কিনা ভক্ষক!ভরসার নিকটাত্মীয়ের বিরুদ্ধেই সম্প্রতি উঠেচিল যৌন নির্যাতনের মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগ। হুগলির তারকেশ্বরে ৪ বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হন পরিবারেরই এক নিকটাত্মীয়। পরিবার সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত সম্পর্কে শিশুকন্যার দাদু। থানায় নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনিই। এই ঘটনায়, রবিবার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়।হুগলি পুলিশ সুপার  কামনাশিস সেন বলেন,গুড়াপের মতই দ্রুত তদন্ত শেষ করে যথপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সবথেকে চাঞ্চল্যকর বিষয়, ঘটনার অভিযোগকারী দাদুই ঘটনার মূল অভিযুক্ত, তাকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

শিশুকন্য়ার দিদার দাবি,  রাতে, তারকেশ্বর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নাতনিকে নিয়ে শুয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, শনিবার সকালে উঠে দেখেছিলেন পাশে নাতনি নেই। মশারি কাটা অবস্থায় রয়েছে। এরপর কিছুটা দূরে নর্দমার ধারে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল ওই শিশুকন্যাকে। উদ্ধারের পর প্রথমেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনার প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি।