কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ বাড়াল রাজ্য সরকার। সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হলো। আর এই মেয়াদ বাড়ানো নিয়েই ফের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরকারের। জানা গিয়েছে, সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ বাড়াতে চেয়ে ১৭ এবং ২২ জুন রাজ্যপালের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। অভিযোগ, সরকারের প্রস্তাব এখনও অনুমোদন দেননি রাজ্যপাল। আচার্যের অনুমোদন ছাড়াই রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, আজই বিকেলে যাদবপুরের উপাচার্য পদে সুরঞ্জনের মেয়াদ শেষ হয়।


যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি বলেন, "আমি এই বিষয়ে কিছু বলব না। আমি দেখব আমার কাছে সরকারের আদেশনামা আছে। সরকার আমার উপর আস্থা রেখেছে। সেই সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ আমার উপর আস্থা রেখেছে। সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আইনগতভাবে এই নিয়োগটা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলব না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ এবং সরকারের উপর অবলম্বন করে আমার কাজ করব।"


উপাচার্য নিয়োগ হোক বা উপাচার্য পদে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি- রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত নতুন কিছু নয়। এর আগে গত ১০ জুন আচার্যের অনুমোদন ছাড়াই প্রেসিডেন্সির উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। আরও ২ বছর অনুরাধা লোহিয়ার মেয়াদ বাড়ায় রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব গেলেও সম্মতি মেলেনি রাজভবনের। কাজের অসুবিধা দূর করতে মেয়াদ বৃদ্ধি বলে দাবি সরকারি সূত্রের। 


চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। উপাচার্য নিয়োগ মহুয়া দাসের নাম পাঠিয়েছিল উচ্চ শিক্ষা দফতর। মহুয়া দাস উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি এবং বাগবাজার উইমেন্স কলেজের অধক্ষ্যা। কিন্তু সেই নামে সম্মতি দেয়নি রাজভবন। আচার্যের অনুমোদন ছাড়াই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকার। পাশাপাশি জানানো হয়, গত বছর ১৫ অক্টোবর এবং চলতি মাসের ১৮ তারিখ সম্মতি চাইতে আচার্যকে চিঠি দিয়েছিল উচ্চ শিক্ষা দফতর। কিন্তু নিয়োগের দিন পর্যন্ত  আচার্যের তরফে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।