কলকাতা: চলতি বছরেও রাজ্যের পুজো অনুদানে সবুজ সঙ্কেত দিল হাইকোর্ট। কোভিড মোকাবিলায় কীভাবে টাকা খরচ হবে, নির্দেশিকা তৈরি করুক রাজ্য। রাজ্য নির্দেশিকা না তৈরি করলে হাইকোর্টের ২০২০-র নির্দেশ অনুযায়ী পুজো অনুদান দেওয়া হবে। মাস্ক, স্যানিটাইজার তৈরি, জনসচেতনতা বাড়াতে পুজো অনুদান থেকে খরচ করা যাবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুদানের টাকা কীভাবে খরচ, জানাতে হবে রাজ্যকে। এ বিষয়ে ২২ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
গতকালই পুজো নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট।ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিলে, তবেই মণ্ডপে ঢুকে অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা। বড় প্যান্ডেলে সর্বাধিক ৪৫, ছোট মণ্ডপে সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন, নতুন নির্দেশিকা দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়ম মানা না হলে পুজোর অনুমতি বাতিল করতে পারবে পুলিশ।
এবারো মণ্ডপ দর্শক শূন্য! প্রতিমা দর্শন করতে হবে দূর থেকে! করোনা আবহে দ্বিতীয় শারদোত্সবেও বিধিনিষেধেরর বেড়া। বৃহস্পতিবারই দুর্গা পুজো নিয়ে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, অঞ্জলি, আরতি, সিঁদুর খেলা সহ সমস্ত আচার-উপচার করতে পারবে পুজো কমিটিগুলি। তাতে যাঁরা অংশ নেবেন, তাঁদের সবার করোনার টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া থাকতেই হবে এবং সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
অঞ্জলি, আরতি, সিঁদুর খেলার সময় কারা প্যান্ডেলের মধ্যে থাকবেন, তার তালিকা আগে থেকে তৈরি রাখতে হবে। বড় প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে তৈরি করতে হবে ৬০ জনের নামের তালিকা। সেই তালিকা থেকে একসঙ্গে মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন সর্বাধিক ৪৫ জন।
আর ছোট প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে তৈরি করতে হবে ১৫ জনের নামের তালিকা। সেই তালিকা থেকে একসঙ্গে ঢুকতে পারবেন সর্বাধিক ১০ জন। নিয়ম মানা না হলে পুলিশ পুজোর অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
আদালতের এই নির্দেশের পরই কী রকম প্রস্তুতি নিচ্ছেন উদ্যোক্তারা? তা জানতে এদিন আমরা হাজির হয়েছিলাম শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে।
উল্লেখ্য, কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দিল বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। কালীপুজোয় বাড়ি পোড়ানো সংক্রান্ত এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি হবে অবসরকালীন বেঞ্চে। গতবছর করোনা আবহে বাজি পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।