কলকাতা: বামেদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্বভারতীকে রাজনীতির আখড়া বানিয়ে তুলছে তৃণমূল সরকার। বাংলার স্বাভিমান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের আন্দোলন নিয়ে ফের আক্রমণ দিলীপ ঘোষের। রোজের মতো শনিবারও ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াকে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন তিনি।


এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে দুর্গা মূর্তি প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, মানুষ যখন ভগবানের পর্যায়ে চলে যায়, তখন আমাদের ছেড়ে চলে যায়। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিনের জন্য ড্রেস কোড রয়েছে কি না, জানা নেই। হয়তো কাটমানি পায়নি তাই এই পরিস্থিতি। হাফ প্যান্ট পরে যাওয়ায় সোনারপুরে ভ্যাকসিন গ্রহীতাকে ফিরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের। 


উল্লেখ্য তিন পড়ুয়াকে বরখাস্তের সিন্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে উপাচার্যের বাড়ির সামনে আন্দোলনে বসেন পড়ুয়ারা। তবে গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাড়ি থেকে পঞ্চাশ মিটার দূরে সরে যায় পড়ুয়াদের একাংশের অবস্থান-মঞ্চ। উপাচার্যের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হল পুলিশ। তবে, অবস্থান-বিক্ষোভ চলবে বলেই জানিয়েছেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা।


সাত দিন ধরে চলা বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা কাটাতে হস্তক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের!
আদালতের নির্দেশে উপাচার্যের বাড়ির গেটের তালা ভাঙল পুলিশ!সরানো হল পড়ুয়াদের অবস্থান-মঞ্চ। ৩ পড়ুয়াকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে, উপাচার্যের বাড়ির সামনে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। 


অচলাবস্থা কাটাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিন বিশ্বভারতীর অবস্থান-বিক্ষোভ নিয়ে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, এটা কোনও ট্রেড ইউনিয়ন নয়, এটা ছাত্র সংগঠন। অন্তর্বর্তী নির্দেশে তিনি বলেন, উপাচার্য, শিক্ষক, অধ্যাপক, কর্মীদের বাসস্থান, স্কুল, ক্লাসরুম, প্রশাসনিক ভবন সহ বিশ্বভারতীর যে কোনও অংশের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও রকম বিক্ষোভ দেখানো যাবে না।


উপাচার্যের বাসস্থান-সহ যেখানে যত তালা ঝোলানো ছিল, শান্তিনিকেতন থানাকে সব তালা ভেঙে দিতে হবে। বিশ্বভারতীর কোনও কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া যাবে না। উপাচার্যের নিরাপত্তার জন্য ৩ জন পুলিশ কর্মীকে নিয়োগ করতে হবে। চালু করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে থাকা সমস্ত CC ক্যামেরা।


কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে শান্তিনিকেতন থানাকে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।