প্রকাশ সিনহা ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) বন্ধুত্ব পাতিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে (Whatsapp) ভিডিও কল করে সেক্সটরশনের ফাঁদ। গোপনীয় অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ। সক্রিয় একাধিক চক্র। লালবাজারের সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের এক ডিজাইনারের।
পুলিশের ভাষায় সেক্সটরশন (Sextortion)। হোয়াটসঅ্যাপে (Whatsapp) ভিডিও কল করে অশ্লীল ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি জুড়ে ব্ল্যাকমেলের (Black mail) চক্র। ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এই চক্রের ফাঁদেই পড়েছিলেন নোয়াপাড়ার (Noapara) বাসিন্দা, পেশায় ড্রেস ডিজাইনার কৌশিক পান।
তাঁর অভিযোগ, সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) একজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর আদানপ্রদান হয়। এরপরই হয় বিপত্তি। গত সেপ্টেম্বরে (September) তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ভিডিও কল করা হয়। তিনি রিসিভ করে দেখেন, এক মহিলার অশ্লীল ছবি। অভিযোগকারী ঘরের আলো নিভিয়ে দেন। কেটে দেন কল।
অভিযোগকারীর দাবি, ঘর অন্ধকার থাকলেও তাঁর মুখের ছবি তুলে অশ্লীল ছবির সঙ্গে তা জোড়া হয়। তারপর সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা চেয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল।
অভিযোগকারীর দাবি, তাঁর ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের কাছে। ঘটনায় সেপ্টেম্বরের শেষে সাইবার ক্রাইমে দায়ের হয় অভিযোগ। কিন্তু এই ধরনের ভিডিও কল যিনি রিসিভ করবেন, তাঁর ছবির সঙ্গে অশ্লীল ছবি জুড়ে ব্ল্যাকমেল চক্রর থেকে বাঁচার উপায় কী?
পুলিশের পরামর্শ, অপরিচিত কারও সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব করা থেকে দূরে থাকুন। কোনও অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলবেন না। অচেনা কারও ভিডিও কল রিসিভও করবেন না। অপরিচিত কাউকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেবেন না। সেক্সটরশন কল পেয়ে থাকলে সাইবার ক্রাইম বিভাগে যোগাযোগ করুন।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও ধরা পড়েনি। সাধারণত, ভিন রাজ্যে বসে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এই চক্র চালানো হয়। অভিযুক্তদের ট্র্যাক করা কিছুটা কঠিন।