কলকাতা: আজ আগরতলায় সভা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন সকালে আগরতলার উদ্দেশে রওনা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে শনিবার টানটান নাটক হয় দিনভর। জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। শেষমেশ আদালতের নির্দেশে জয় পায় তৃণমূল। রবীন্দ্র ভবনের সামনেই হচ্ছে অভিষেকের জনসভা। হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল বিপ্লব দেব প্রশাসন।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আজকের সভা নিয়ে শনিবার দিনভর চলে সংঘাত। তৃণমূল সূত্রে খবর, ঠিক ছিল রবিবার আগরতলায় রবীন্দ্র ভবনের সামনে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু এদিন দুপুরে হঠাৎই জনসভার জায়গা বদলের জন্য নোটিস দেয় ত্রিপুরা পুলিশ। বলা হয়, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকায় সভা করতে হবে আগরতলার আস্তাবল ময়দানে।
ত্রিপুরা প্রশাসন শেষ মুহূর্তে সভাস্থল বদলের নির্দেশ দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান সুস্মিতা দেব, কুণাল ঘোষরা।
আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা বিপ্লব দেব প্রশাসনের, অভিষেকের সভার অনুমতি ত্রিপুরা হাইকোর্টের
এর আগে গত ১৫, ১৬ ও ২১ সেপ্টেম্বর - পরপর তিনদিন অভিষেকের পদযাত্রায় অনুমতি দেয়নি ত্রিপুরা প্রশাসন। সেই সময়ও দানা বেধেছিল বিতর্ক। এবার রবীন্দ্র ভবনের সামনেই সভা করতে অনড় থাকে ঘাসফুল শিবির।
এরপরই ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস। ভার্চুয়াল শুনানি হয় বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্রর এজলাসে। আর তারপরই পুরনো জায়গাতেই সভা করার অনুমতি পায় তৃণমূল।
পুলিশের যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে শর্তসাপেক্ষে রবীন্দ্র ভবনের সামনে সভার অনুমতি দেন বিচারপতি। আদালত থেকে অনুমতি পেতেই, উল্লাসে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। রাতেই জোর কদমে ফের শুরু হয়ে যায় মঞ্চ তৈরির কাজ।
এদিকে, করোনা বিধি নিয়ে কড়াকড়ি করে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে ত্রিপুরা সরকার। তাতে বলা হয়েছে, ভিনরাজ্য থেকে ত্রিপুরায় আসার ৪৮ ঘণ্টা আগে করানো RT-PCR নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক।
রিপোর্ট না নিয়ে ত্রিপুরায় ঢুকলে, রাজ্য সরকারই যাত্রীর RT-PCR টেস্ট করাবে। সেই রিপোর্ট যতক্ষণ না আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোথাও যেতে পারবেন না ওই যাত্রী।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সফরের আগের দিন RT-PCR টেস্ট নিয়ে নতুন নির্দেশিকা ত্রিপুরা প্রশাসনের
ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের কোভিড সংক্রান্ত নির্দেশিকায় কেরল, হিমাচল প্রদেশ, সিকিম ও মণিপুরের পাশাপাশি নাম আছে বাংলার।
ফলে এখন বাংলা থেকে কেউ ত্রিপুরায় গেলে, ৪৮ ঘণ্টা আগে করানো RT-PCR নেগেটিভ রিপোর্ট থাকা আবশ্যিক। এদিকে, বিমানবন্দর শুধু নয়, করোনা বিধি কড়াকড়ি করা হয়েছে সড়কপথেও। পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি রেল স্টেশনে হচ্ছে করোনা পরীক্ষা।