হিন্দোল দে ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কোথাও জমা জলের সমস্যা। কোথাও পানীয় জল নিয়ে অভিযোগ। তারই সমাধানে এবার উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)। রবিবার ছিট কালিকাপুরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল ড্রেনেজ পাম্পিং স্টশেনর। টালিগঞ্জে (Tollygunge) উদ্বোধন হল বুস্টার পাম্পিং স্টেশন।


জলই জীবন, আবার জলই যন্ত্রণা। কখনও দুর্ভোগ জমা জলের। আবার কখনও পানীয় জল নিয়ে সমস্যা। এই সব সমস্যা সমাধানেই এবার উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা। রবিবার দুপুরে ছিট কালিকাপুরে স্থাপন হল ড্রেনেজ পাম্পিং (Pumping Station) স্টেশন ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়। 


অন্যদিকে, টালিগঞ্জে উদ্বোধন হয় বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের (Booster Pumping Station)। দু’জায়গাতেই উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম ও টালিগঞ্জের বিধায়ক ও বিদ্যুত্‍মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। 


এদিন টালিগঞ্জে  বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের (Booster Pumping Station) উদ্বোধনে গিয়ে, ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) পাশে রেখেই কলকাতা পুরসভার কাজের গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। এ জন্য করোনা পরিস্থিতির দিকেই আঙুল তুলেছেন ফিরদাহ হাকিম (Firhad Hakim)। 


 অরূপ বিশ্বাসের কথায়, এখানে জলের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে না। পানীয় জলের কাজ করব বলেছিলাম ৩০-৪০ শতাংশ হয়েছে। চেয়েছিলাম ভোটের আগে করতে সেটা হল না।  আরও যত্নবান হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী যেমন চাইছেন ববি হাকিম (Firhad Hakim) যেভাবে বলছে কাজ করতে হবে। 


প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান  ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির জন্য কিছু সমস্যা হয়েছিল। সেসব কাটিয়ে দ্রুত কাজ করার চেষ্টা করছি।


কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municiaplity) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূ-গর্ভস্থ জলের ব্যবহার বন্ধ করতে ও এলাকায় সুষ্ঠুভাবে জল সরবরাহের জন্য টালিগঞ্জে বুস্টার পাম্পিং স্টেশনটি (Tollygunge Booster Pumping Station) করা হয়েছে। এই স্টেশনের ফলে এলাকায় জলের প্রেসার বাড়বে। বুস্টার পাম্পিং স্টেশনটির নাম দেওয়া হয়ছে কল্পতরু।


অন্য দিকে, কলকাতারই ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে ছিট কালিকাপুরে (Kalikapur) জমা জলের সমাধান করতে ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ১৪৮ কোটি টাকার এই প্রকল্প ২ বছরে শেষ হবে বলে আশা। এদিন হয় তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান।


এই ওয়ার্ডের মুকুন্দপুর, বুদেরহাট, ছিট কালিকাপুর-সহ একাধিক এলাকায় জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। সামান্য বৃষ্টিতে জমা জল বের হওয়া নিয়েও হয় সমস্যা।


পাম্পিং স্টেশন হলেই দীর্ঘ দিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে আশ্বাস মন্ত্রীর। অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) আরও জানিয়েছেন, 148 কোটি টাকা খরচ করে ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশন। ২ বছরে কাজ শেষ হবে আশা। স্থায়ী সমাধান হবে। আশ্বাস কবে বাস্তবায়িত হয়, সেই অপেক্ষায় এলাকার বাসিন্দারা।