কলকাতা : শেষবারের জন্য একটি বার মুখ দেখার অপেক্ষা...তারপর চির বিদায়। উত্তরাখণ্ড থেকে আজ রাজ্যে ফিরছে আরও পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীর দেহ। হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর দাস, সরিৎশেখর দাস ও সাগর দে-র দেহ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবে সকাল সোয়া ৮টা নাগাদ। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় ঠাকুরপুকুরের সাধন বসাক ও রানাঘাটের প্রীতম রায়ের কফিনবন্দি দেহ আনা হবে কলকাতা বিমানবন্দরে। এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। 


প্রকৃতির রুদ্ররোষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরাজয়। প্রতিকূল আবহাওয়া!  তুষারঝড়! সুন্দরডুঙ্গা হিমবাহের কানাকাট পাস সংলগ্ন এলাকায়, পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীর মৃতদেহের হদিশ আগেই মিলেছিল। কিন্তু, আবহাওয়ার কারণে, তা উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। সোমবার মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়।

মৃতদের মধ্যে তিন জন হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা। একজন ঠাকুরপুকুরের, আরেক জন নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা। ১০ অক্টোবর, উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশে রওনা হয় অভিযাত্রী দলটি। ১১ অক্টোবর, তাঁরা পৌঁছয় খারকিয়া! পরিবার সূত্রে খবর, খারকিয়া থেকে বেরিয়ে ট্রেকিংয়ের রুট ছিল বাগেশ্বর, জাটুলি, দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড হয়ে কানাকাটা পাস। কিন্তু, প্রবল বৃষ্টি আর তুষারঝড়ে তাঁরা সুন্দরডুঙ্গা হিমবাহে আটকে যান।

বাগেশ্বরের পুলিশ সুপার জানান, ময়নাতদন্তের পর দিল্লি হয়ে মৃতদেহগুলি রাজ্যে পাঠানো হবে। গত ২৬ অক্টোবরই বাগেশ্বরে পৌঁছে যান মৃত অভিযাত্রীদের পরিবারের সদস্যরা।

অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এরাজ্যের পাঁচ পর্যটকের। কৌশানি থেকে নৈনিতাল যাওয়ার পথে খাদে পড়ে যায় পর্যটক-বোঝাই গাড়ি। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও সাতজন। মৃত এবং আহতরা পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা। ২১ অক্টোবর , রানিগঞ্জ-আসানসোল-দুর্গাপুর থেকে যায় ৩০ জন পর্যটকের এই দলটি উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে যায়। বুধবার দু’টি গাড়িতে তাঁদের কৌশানি থেকে নৈনিতাল যাওয়ার কথা ছিল। একটি গাড়িতে চালক-সহ বারোজন পর্যটক ছিলেন। সেই গাড়িটি মাঝরাস্তায় খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এরাজ্যের ৫ পর্যটকের। এর মধ্যে ২জন দুর্গাপুরের বাসিন্দা, ২জন রানিগঞ্জের বাসিন্দা, একজন আসানসোলের বাসিন্দা। আহত পর্যটকদের উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।