কলকাতা : ‘করোনার পজিটিভ রিপোর্ট থাকলেই এবার মিলবে অক্সিজেন। শুধুমাত্র চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন থাকলেই অক্সিজেন নয়।’ নবান্নে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্টসচিব-সহ উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত। করোনায় কারও মৃত্যু হলে বিনামূল্যে সৎকার, সিদ্ধান্ত সরকারের।
এছাড়াও আজ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়, ‘শুধু হাসপাতাল থেকেই এবার মিলবে রেমডেসিভির, খোলা বাজারে আপাতত মিলবে না রেমডেসিভির’ । জানানো হয়েছে, ‘সব করোনা রোগীর জন্যেই রেমডেসিভির নয়। সংক্রমিত হওয়ার ৫-১০দিন পর্যন্ত দেওয়া যাবে রেমডেসিভির। রেমডেসিভির নিয়ে নতুন নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের ।
এছাড়াও স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ , ‘অক্সিজেনের প্রয়োজন না থাকলে, হাসপাতালে চিকিৎসা নয়। অক্সিজেনের প্রয়োজন না থাকলে সেফ হোম, বাড়িতেই চিকিৎসা। ষাটোর্ধ্বদের কোমর্বিডিটি থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা। সেফ হোমে রাখার ১০দিন পরে ছাড়া হবে রোগীকে’
করোনা রোগীর চাপ বাড়ায় নতুন গাইডলাইন স্বাস্থ্য দফতরের
বাংলায় সাত লক্ষের গণ্ডী পেরিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পৌঁছেছে প্রায় ৭৫ হাজারে।অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চললেও, রাজ্যে এই মুহূর্তে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে বেডের সংখ্যা ৯ হাজার ২২০। এই পরিস্থিতিতে যখন বেড না পাওয়ার অভিযোগ উঠছে, তখন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর একটি ফেসবুক পোস্টে দেখা গিয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে বেডে বসে মোবাইল ফোনে আয়েশ করা কথা বলছেন করোনা রোগী! এই প্রেক্ষিতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, প্রয়োজন ছাড়াই অধিকাংশ কোভিড হাসপাতালে অনেক রোগী ভর্তি করা হয়েছে।
অথচ, অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে বা বাড়িতে রয়েছেন, যাঁদের অবিলম্বে CCU অথবা HDU-তে স্থানান্তরের প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে যাঁদের অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই তাঁদের জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা এবং যাঁদের জেনারেল ওয়ার্ডেও ভর্তি থাকার প্রয়োজন নেই তাদের ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
প্রয়োজন ছাড়াই ভর্তি করা গুরুতর অপরাধ বলেও পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। পাশাপাশি সিএমওএইচ ও হাসপাতালের সুপারদের রোজ সিসিইউ ও ওয়ার্ডে গিয়ে সরেজমিনে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।এদিকে, করোনা চিকিৎসায় কোভিড বেড আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।