কলকাতা: উদ্বেগ বাড়িয়ে রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক করোনা সংক্রমণ। এবার হাজার ছুঁই ছুঁই। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত একদিনে আক্রান্ত ৯৮৯ জন। 


এই সময় পর্বে রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন মৃত ১০ জন। গতকাল করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৯৭৪ জন, মৃত্যু হয়েছিল ১০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ৮২৮ জন। সরকারি হিসেব অনুযায়ী কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ২৭৩ জন, মৃত ২ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত ১৪৬ জন, মৃত ২ জন।


পুজো মিটতেই ফের ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে করোনা। হাজার ছুঁইছুঁই দৈনিক সংক্রমণ। এই প্রেক্ষাপটে নবান্নের নির্দেশে, কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকাকে। চলছে প্রচার। 


সেই সঙ্গে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ পালন করতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশও। চলছে ধরপাকড়। হুগলির ১২টি ব্লকের, ২৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। 


পাশাপাশি ৮টি পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডকেও কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। করোনা সচেতনতা বাড়াতে এদিন মাস্ক বিলি করেন আরামবাগ পুরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী। রাস্তায় নেমেছিলেন উত্তরপাড়া পুরসভার প্রশাসকও। 


উত্তর চব্বিশ পরগনার বারারাসাতের ৪ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গোটা জেলায় ৫৬টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। পুজোর ক’টা দিন ছাড় দেওয়ার পরই ফের শুরু হয়েছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। 


রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরনো যাবে না। 
শনিবার রাত থেকে ওই বিধিনিষেধ ফের চালু হতেই, পুলিশি তৎপরতা নজরে পড়ছে কলকাতা জুড়ে। করোনাবিধি না মানার অভিযোগে বিডন স্ট্রিটে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়। 


কড়াকড়ির ছবি ধরা পড়েছে পার্কস্ট্রিট ক্রসিংয়েও। করোনা সচেতনতা বাড়াতে এদিন জলপাইগুড়ি শহরে মাইক হাতে বেরিয়েছিলেন খোদ পুলিশ সুপার। 


অন্যদিকে দেশে ১০০ কোটির টিকাকরণের উত্সব শেষ হতেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা-গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৫০০-র বেশি। তবে কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৬১ জনের। 
একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৯০৬। 


দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৬৯ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৬৮। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৯৪। এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬০৫। একদিনে ১৬ হাজার ৪৭৯ জন সুস্থ হয়েছেন।