ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রাজ্যে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। গোষ্ঠী সংক্রমণের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার এম আর বাঙুর হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর।


কোন সরকারি হাসপাতালে করোনার জন্য নির্দিষ্ট কত বেড? তা নির্দিষ্ট করতে স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক হয়।


করোনার পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বিদেশে না গিয়েও সংক্রমিত হয়েছেন আরও চারজন। রাজ্যে নতুন করে পাঁচজন ওমিক্রন পজিটিভ। তাঁদের মধ্যে একজনের বিদেশযাত্রার রেকর্ড থাকলেও, বাকি চারজন বিদেশে যাননি। এই চারজনের মধ্যে দু’জন কলকাতার এবং বাকি দু’জন দমদম ও হাওড়ার বাসিন্দা।


রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘পাঁচ ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে কারও মৃদু উপসর্গ রয়েছে। কেউ কেউ উপসর্গহীন। পাঁচজনই রয়েছেন হোম আইসোলেশনে।’


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের তরফে মোট ১০৭ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচজনের নমুনায় ওমিক্রন ধরা পড়ে। রাজ্যে এই নিয়ে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১। সোমবার ২২৫টি এবং গতকাল ৭০০টি নমুনা ওমিক্রন-পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়, যার রিপোর্ট এখনও আসেনি।


ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে আজ স্বাস্থ্য ভবনে জরুরি বৈঠক হয়। ওমিক্রন নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে? আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা কীভাবে হবে? সে বিষয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর।


ওমিক্রন-উদ্বেগের মাঝেই গতকালের তুলনায় আজ দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের হার এক লাফে প্রায় ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর হারও। 


এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগে চিকিৎসকরাও। চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিক জানিয়েছেন, ‘ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি অবশ্যই উদ্বেগের। এটা গোষ্ঠী সংক্রমণ। বিদেশে যাননি, এখানে থেকে আক্রান্ত হচ্ছে, তার মানে এখানেও ভাইরাসটা ছিল। ভাইরাসটা ছড়াচ্ছে। অবিলম্বে সতর্ক করতে হবে।’