উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, আশাবুল হোসেন, কলকাতা:  রাজ্যে স্কুল কলেজ খোলার দাবিতে ফের সুর চড়াল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। কলকাতার কলেজস্ট্রিটের প্রতিবাদ সভা থেকে অবিলম্বে ক্যাম্পাসে ক্লাস চালুর দাবি জানালেন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তাদের এই দাবিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন দাবি বলে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
পানশালা খুললে পাঠশালা খুলবে না কেন? বৃষ্টি ভেজা কলকাতায় এই প্রশ্ন সামনে রেখে অবিলম্বে স্কুল কলেজ খোলার দাবিতে আন্দোলনের ধার বাড়াল এসএফআই। কলেজ স্ট্রিটে জমা জলে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ সভা করলেন সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 


এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে কি ছেলেখেলা চলছে? বার, রেস্তোরাঁ, সিনেমাহল সব খুলে গেল। অথচ স্কুল- কলেজ খোলার নাম নেই।


প্রথমে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে। তারপরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে জড়ো হন এসএফআই কর্মীরা। তবে বৃষ্টির কারণে দ্রুত শেষ করে দেওয়া হয় সভা। 


রাজ্যের স্কুল কলেজগুলিতে ইতিমধ্যেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসএফআই নেতৃত্বের দাবি,  অবিলম্বে স্কুল-কলেজ খুলে ক্যাম্পাসে পঠনপাঠন শুরু করতে হবে। 
করোনা সতর্কতায় দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে দরকারে ক্লাসরুমের বাইরে মাঠে বা লনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হোক। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন করে ক্লাস হোক স্কুল, কলেজগুলিতে। 


করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের টিকাকরণ করা হোক। ১২ অগাস্ট রাজ্য জুড়ে বইখাতা নিয়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এসএফআই। 


যদিও বাম ছাত্র সংগঠনের এই দাবিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। 


কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা অতীন ঘোষ বলেছেন, এটা একেবারেই দায়িত্বজ্ঞানহীন আন্দোলন। বিশেষজ্ঞ থেকে ডাক্তাররা সতর্ক করে  বলছেন, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের আতঙ্ক রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের জীবন নিয়ে কী ছিনিমিনি খেলতে চায়!


গতবছর করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের গোড়া থেকেই রাজ্যে স্কুল কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমে যাওয়ায় দেশের একাধিক রাজ্যে স্কুল কলেজ খোলার প্রস্তুতি চলছে। অগাস্টের থেকে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের নিয়ে প্রাথমিক ভাবে স্কুল কলেজ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ওই রাজ্যগুলির।