কলকাতা: ঘূর্ণাবর্ত-জলীয় বাষ্প-মৌসুমি বায়ু --- এই ত্র্যহস্পর্শের ফলেই কলকাতা সহ রাজ্যে এমন ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এমনটাই জানা গিয়েছে আবহাওয়া দফতর সূত্রে।
আবহবিদদের মতে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্তের পরিস্থিতি। মেঘলা আবহাওয়ায় সাগর থেকে যোগ হচ্ছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। সেইসঙ্গে বঙ্গে সক্রিয় রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।
তার জেরে উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ মহানগর। উত্তর থেকে দক্ষিণ-- বৃষ্টি ভেজা রাজ্যের প্রায় সব প্রান্তর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়ছে, শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, একটানা বৃষ্টিতে বাড়বে বিভিন্ন নদীর জলস্তর। আগামী ২দিন নীচু এলাকায় জল জমার আশঙ্কা। তার জেরে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে স্থানীয়দের।
সেইসঙ্গে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বাজ পড়ার সময়, বাড়ি থেকে না বেরোতে পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
গতকাল মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এত বৃষ্টি আগে কখনও হয়নি। ২৬ তারিখ বান আসবে। এত বেশি বৃষ্টি হচ্ছে যে, গঙ্গা ভেসেই যাচ্ছে। ব্রজাঘাতে এত মৃত্যু, আগে দেখিনি। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে তো, বাঁধের জল ছেড়ে দেয়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ ও আগামীকাল, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেও কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বিভিন্ন এলাকায়। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমের জেলাগুলিতে।
লাগাতার বৃষ্টির জেরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় জারি হয়েছে হলুদ ও কমলা সতর্কতা। শুক্রবার কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে -- মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায়।
হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে -- কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে।
শনিবার, হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়ছে -- মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে।
এই পরিস্থিতিতে আজ ও কাল মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।