কলকাতা: শেষ পর্যন্ত জোড়াবাগানকাণ্ডে আহত যুবকের মৃত্যু হল হাসপাতালে। মঙ্গলবার গভীর রাতে স্টোনম্যানের কায়দায় ওই যুবকের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে পালায় হামলাকারী। গুরুতর আহত ওই যুবক ভর্তি ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়রা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ।
স্টোনম্যানের কায়দায় রাস্তার ধারে ক্যাম্পখাট পেতে শুয়ে থাকা যুবকের মাথা ভারী কিছু দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত সেই যুবকের বৃহস্পতিবার মৃত্যু হল হাসপাতালে। মঙ্গলবার গভীর রাতে বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘুমের মধ্যেই আক্রান্ত হন ২৬ বছরের ওমপ্রকাশ শর্মা।
আহত যুবক ভর্তি ছিলেন কলকাতা মেডিক্যল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তাঁর ঠিকমতো চিকিত্সা হচ্ছে না বলে এদিন বিকেলে লিখিত অভিযোগ জানায় পরিবার। মৃত যুবক ওমপ্রকাশ শর্মার মা জানিয়েছেন, পরে আহতকে এসএসডি বিল্ডিংয়ে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধে ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয় যুবকের। এর পরই চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয়রা।
মৃতের এক বন্ধু জানিয়েছেন, ' এদিন ঝামেলা শুরু হলে হাসপাতালে আসে বউবাজার থানার পুলিশ। তাদের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ মেটে। যদিও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ' যা যা করার ছিল, করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত সঙ্কটজনক ছিল অবস্থা। রোগীর পরিবার লিখিত অভিযোগ জানানোর পর তাঁর চিকিৎসা করে হাসপাতালের ৫ সদস্যের টিম। পরিস্থিতি বুঝে শিফট করানো হয় এসএসডি বিল্ডিংয়ে। এতে চিকিত্সায় গাফিলতির মতো কিছু হয়নি। '
এ দিকে, আহতের মৃত্যুর পর খুনের মামলা দায়ের হয়েছে জোড়াবাগান থানায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুরনো বিবাদের জেরে প্রতিহিংসা নিতে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের।