কলকাতা: ফের শহরে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় একজনের মৃত্যু। আহত এক পুলিশ কনস্টেবল সহ চারজন।  পুলিশের হাতে আটক গাড়ি চালক সহ কয়েকজন। আজ ভোর ৫টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে কসবায়।  


পুলিশ সূত্রে খবর, মত্ত অবস্থায় কয়েকজন যুবক রাস্তায় দাঁড়িয়ে গন্ডগোল করছিল। সেই সময় পুলিশ সেখানে গেলে গাড়ি নিয়ে কয়েকজন যুবক পালাতে যায়। 


তখনই প্রথমে কনস্টেবল উদয় বিশ্বাসকে গাড়িটি ধাক্কা মারে। তারপর এক পথচারীকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। মৃত্যু হয় ওই পথচারীর। 


এরপর পালাতে গিয়ে একাধিক গাড়িকে ধাক্কা মারে ঘাতক গাড়িটি।  পুলিশ গাড়ির চালক রাজদীপ সহ তাঁর কয়েকজন সঙ্গীকে আটক করেছে।  


অভিযোগ, ওই যুবকরা কসবার একটি হুঁকাবারে রাত পর্যন্ত ছিলেন। হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ করার সরকারি নির্দেশ থাকলেও কেন অত রাত পর্যন্ত ওই হুঁকা বার খোলা ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  


এর আগে, গতকাল বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। লরি-বাইক-টোটোর সংঘর্ষে এক শিশু-সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়। 


বুধবার রাত ১১টা নাগাদ ইটাহারের চাভোর মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। বাইক ও টোটোয় চড়ে বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন এক শিশু-সহ ৫ জন। 


জাতীয় সড়কে পণ্যবোঝাই লরির সঙ্গে পরপর প্রথমে বাইক ও পরে টোটোর সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ বছরের এক শিশু-সহ ৫ জনের।


তার আগে গত মাসে, হুগলির চণ্ডীতলায়  গত ১৩ এপ্রিল সকাল ১০টা নাগাদ বাস ও গাড়ির মুখোমুখী সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তিনজনের।


কলকাতা থেকে আরামবাগের দিকে যাচ্ছিল বাসটি।  আর গাড়িটি আসছিল আরামবাগের দিক থেকে কলকাতার দিকে।  রাস্তায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।  গাড়ির তিন আরোহীর মৃত্যু হয়।  আরও একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। 


তার এক সপ্তাহ আগে, হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। দাঁড়িয়ে থাকা গ্যাস ট্যাঙ্কারের পিছনে কন্টেনার ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম হন কন্টেনারের চালক।