কলকাতা: যাদবপুর তখন ছিল প্রকৃত অর্থেই বাম দুর্গ। সেখান থেকে লড়ে টানা তিনবার সাংসদ হয়েছিলেন কৃষ্ণা বসু। সিটি কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন, হন অধ্যক্ষও। সঙ্গীত বিশারদ ডিগ্রি লাভ করেন ভাতখণ্ড সঙ্গীত ইনস্টিটিউট থেকে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক ভারত বিখ্যাত বসু পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্যের জীবনের কিছু মুহূর্ত।
১৯৩০-এর ২৬ ডিসেম্বর কৃষ্ণা বসুর জন্ম ঢাকায়। বাবার নাম চারুচন্দ্র চৌধুরী, মা ছায়া দেবী চৌধুরাণী। বাবা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অন্যতম সচিব ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করেন কৃষ্ণা, লখনউয়ের ভাতখণ্ড সঙ্গীত ইনস্টিটিউট থেকে পান সঙ্গীত বিশারদ ডিগ্রি। ১৯৫৫-র ৯ ডিসেম্বর বিয়ে করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাইপো চিকৎসক শিশির বসুকে। তাঁদের ৩ সন্তান- দুই পুত্র, সুমন্ত্র, সুগত ও এক মেয়ে শর্মিলা।
সিটি কলেজে ৪০ বছর অধ্যাপনা করেছেন শর্মিলা, ইংরেজি বিভাগের প্রধান ছিলেন। তারপর ৮ বছর ছিলেন অধ্যক্ষের পদে। ১৯৯৬-এ কংগ্রেসের হয়ে লড়ে প্রথমবারের জন্য যাদবপুরের সাংসদ হন। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে যোগ দেন তৃণমূলে। ১৯৯৮ ও ১৯৯৯-এ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ছিলেন জেনারেল পারপাস কমিটি, জয়েন্ট কমিটি অন পেটেন্টস (সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ১৯৯৯ ও কমিটি অন অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজের সদস্য। তাঁর পুত্র সুগত বসুও যাদবপুর থেকে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন।
সমাজসেবা মূলক কাজকর্মে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন কৃষ্ণাদেবী। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর চেয়ারম্যান। বিবেক চেতনা নামে একটি অলাভজনক সংস্থার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। নারী এবং শিশুকল্যাণ সংক্রান্ত কাজকর্মেও যুক্ত ছিলেন।
৩ বার সাংসদ, সিটি কলেজের অধ্যক্ষ, সঙ্গে সঙ্গীত বিশারদ ডিগ্রি, দেখে নিন কৃষ্ণা বসুর বর্ণময় জীবন
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
22 Feb 2020 01:02 PM (IST)
সিটি কলেজে ৪০ বছর অধ্যাপনা করেছেন শর্মিলা, ইংরেজি বিভাগের প্রধান ছিলেন। তারপর ৮ বছর ছিলেন অধ্যক্ষের পদে।
NEXT
PREV
খবর (news) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -