কলকাতা: সূত্র একটি মোবাইল। ৬ মাস পর এই ফোনের মাধ্যমেই সমাধান হল কলকাতার অভিজাত পাড়ার এক বৃদ্ধ খুনের রহস্য। ধরা পড়ল খুনি।
২০১৯-এর ৫ জুন খুন হন ব্রড স্ট্রিটের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী বিশ্বজিৎ বসু। গভীর রাতে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বছর পঁয়ষট্টির বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ। বাড়ির সদর দরজা খোলা ছিল। দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা কড়েয়া থানায় খবর দেন। দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। খোয়া যায় একটি মোবাইল।
৪২/১ ব্রড স্ট্রিটের দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা এই বসু পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, গড়িয়াহাটের কাছে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন বিশ্বজিৎবাবু। কয়েক বছর আগে অবসর নেওয়ার পর থেকে তিনি বাড়িতেই থাকতেন। সঙ্গে থাকতেন তাঁর ছোট মেয়ে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই দিন লুঠের উদ্দেশ্যে বৃদ্ধের বাড়িতে হানা দেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা মুর্শিদ শেখ। বাধা পেয়ে খুন করে বৃদ্ধকে। খুনের পর মোবাইল নিয়ে পালায় ওই দুষ্কৃতী। সেই চোরাই মোবাইল বিক্রির সূত্র ধরেই ৬ মাস পর খুনের কিনারা করল পুলিশ।
সূত্রের খবর, মোবাইলটি চালু হতেই এক ফেরিওয়ালার সন্ধান পায় পুলিশ। জানা গেছে, ৬ জন ফেরিওয়ালার হাতে ঘুরেছে মোবাইলটি। ওই ৬ ফেরিওয়ালাকেই লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞসাবাদ করা হয়। সেই সূত্র ধরেই মূল অভিযুক্ত মুর্শিদ শেখকে শুক্রবার গ্রেফতার করে পুলিশ।