প্রয়াগরাজ: বিতর্কিত জমি যে তাদের তার স্বপক্ষে কোনও কাগজ এখনও পর্যন্ত দেখাতে পারেনি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও মসজিদ কমিটি। শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ও শাহী ইদগাহ মামলার (Krishna Janmabhoomi-Shahi Idgah Case) শুনানিতে বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) এই দাবি করলেন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী। সেই সঙ্গে তিনি একথাও জানান যে ওয়াকফ বোর্ড ও মসজিদ কমিটির নামে কোনও বিদ্যুতের সংযোগও নেই। ওরা বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ নিয়েছে বলে ওদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ দফতরের তরফে একটি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।


মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমির লাগায়ো শাহী ইদগাহকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মামলা চলছে এলাহাবাদ হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে এই দাবি করেন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী। বিতর্কিত ওই জমিটির স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে বিচারপতি মায়াঙ্ক কুমার জৈনের এজলাসে হলফনামা জমা করেছে মুসলিম পক্ষ। তার বিরোধিতা করেই শাহী ইদগাদ ওই বিতর্কিত জমি থেকে সরানোর দাবি জানানো হয়েছে হিন্দু পক্ষের তরফে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির পর আগামী ২০মে ফের শুনানির দিন ধার্য্য করেছে আদালত।


বুধবার হিন্দু পক্ষের তরফে দাবি করা হয়, ১৯৬৮ সালে দুপক্ষের মধ্যে বিতর্কিত জমি নিয়ে যে সমঝোতার কথা বলছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও মসজিদ কমিটি তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ওই সম্পত্তিটি হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে দেবতা কাটরা কেশব দেও-এর নামে রয়েছে। ১৬ শতাব্দীতে ভগবান কৃষ্ণের জন্মভূমি ধ্বংস করে দিয়ে সেখানে ইদগাহ হিসেবে একটি চবুতরা বা মঞ্চ তৈরি করা হয়। 


অন্যদিকে মুসলিম পক্ষের তরফে আইনজীবী তসলিমা আজিজ আহমেদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বুধবারের শুনানিতে অংশ নিয়ে পুরনো দাবিই করেন। তিনি জানান, ১৯৬৮ সালের ১২ অক্টোবর দুপক্ষই ওই বিতর্কিত জমি নিয়ে সমঝোতা করেছিল। সেই সমঝোতাটি ১৯৭৪ সালে একটি দেওয়ানি মামলার মাধ্যমে সুনিশ্চিত করা হয়। যদি ওই সমঝোতা না মানা হত তাহলে তিন বছরের মধ্যেই মামলা করতে পারত হিন্দু পক্ষ। কিন্তু, তারা সেটা না করে ২০২০ সালে মামলা দায়ের করে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Amit Shah: 'পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ, আমরা ওটা নিয়েই ছাড়ব', হুঙ্কার শাহর