কুলু: তাসের ঘরে মতো ভেঙে পড়ছে একের পর এক বাড়ি। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তা। হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) কুলুতে (Kulu Landslide) ভয়াবহ ধস। ক্যামেরাবন্দি বিপর্যয়ের মুহূর্ত। ধ্বংসস্তূপে নীচে অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা। 


কী দেখা গেল?
ধস নাকি ধুলোর ঝড়, একঝলকে বোঝা কঠিন। বহুতল বাড়িগুলি মুখ থুবড়ে পড়ার পর যে বিপুল ধুলোয় ডেকে গেল কুলুর এক বিশাল এলাকা, তা দেখে একঝলকে এই ভ্রম হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। খবর মিলতেই ঝটপট কাজে নেমে পড়েছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়াদের উদ্ধার করাই একমাত্র লক্ষ্য তাঁদের। কিন্তু সেই উদ্ধার অভিযান নির্বিঘ্নে করা যাবে কিনা, তার অনেকটাই নির্ভর করছে আবহাওয়ার মতিগতির উপর। কারণ, আবহাওয়া দফতর আজ ও কাল হিমাচল প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে। এদিনের বিপর্যয়ের ভিডিও নিজের X হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখখু। লেখেন, 'বিধ্বংসী ধসে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত একটি বিল্ডিং ভেঙে পড়ার ভয়ঙ্কর ছবি ধরা পড়েছে এই ভিডিওয়। তবে একটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ। দুর্ঘটনাটির দুদিন আগে স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে টের পেয়েছিল। তাই বিল্ডিংয়ের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।'






এখনও পর্যন্ত...
হিমাচল পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই ওই বিল্ডিংয়ের সমস্ত সদস্য়দের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু যে ভাবে বহুতল কয়েকটি ভবন ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে, তাতে আশপাশের বাসিন্দাদের কেউ ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে রয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া দরকার। এমনিতেই টানা বর্ষণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধস ইত্যাদির জেরে এই বর্ষায় অবর্ণনীয় অবস্থা হিমাচলের। তার উপর, রাজ্যের বেশ কিছু অংশে নিয়মিত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। কুলু-মান্ডি হাইওয়ের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। ভারী বর্ষণের ফলে সেখানে কাতারে কাতারে গাড়ি আটকে পড়েছে। পান্ডো হয়ে বিকল্প যে রাস্তাটি ছিল, সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত। আপাতত, তাই যান-চলাচল বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। মূলত তিন দফায় ভয়ঙ্কর বৃষ্টির জন্য রাজ্যজুড়ে ৭০৯টি রাস্তা বন্ধ। তীব্র বৃষ্টিতে ২২৪ জনের প্রাণ গিয়েছে। আরও ১১৭ জন মারা যান বর্ষণ-সম্পর্কিত দুর্ঘটনায়। গণ পরিকাঠামোয় ক্ষয়ক্ষতির অঙ্ক ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। 


আরও পড়ুন:চন্দ্রাভিযানে জেলার জয়জয়াকার, প্রজ্ঞানের নেভিগেশন ক্যামেরা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা