নয়াদিল্লি: প্রাথমিক ঝড়-ঝাপটা কেটে গিয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বরং আড়ে-বহরে বেড়েছে সংসার। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় অরণ্যে এখন ভরা সংসার 'গামিনী'র, তারই একঝলক এবার ধর পড়ল ক্যামেরায়। পাঁচ শাবকের সঙ্গে বৃষ্টি ভিজল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা চিতাটি। জঙ্গলে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে খেলায় মাতল গামিনী নামের ওই চিতাটি। (Kuno National Park)


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব গামিনী এবং তার সন্তানদের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ' আজ সকালে কুনো জাতীয় অরণ্যে চিতা গামিনী তার পাঁচ শাবকের সঙ্গে বৃষ্টি উপভোগ করছে। প্রকৃতির মাঝে, ঋতুর আলিঙ্গনে পারিবারিক সমন্বয়ের কালজয়ী গল্প বুনছে ওরা'। এ বছর ১০ মার্চ কুনো জাতীয় অরণ্যেই পাঁচ শাবকের জন্ম দেয় গামিনী। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, অরণ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ভূপেন্দ্রই সেই খবর জানান সকলকে। কুনো জাতীয় অরণ্যে চিতাশাবকের সংখ্যা বেড়ে ১৩টি হয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি। (Cheetah Project at Kuno)


গামিনীর শাবকের জন্মের খবর জানাতে গিয়ে ভূপেন্দ্র লেখেন, 'হাই ফাইভ কুনো! স্ত্রী চিতা গামিনী, যার বয়স পাঁচ বছর, আজ পাঁচ শাবকের জন্ম দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়ালু কালাহারি থেকে আনা হয়েছিল গামিনীকে। সবমিলিয়ে ভারতে জন্মানো শাবকের সংখ্যা বেড়ে ১৩ হল। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম দফায় যত চিতা আনা হয়েছিল, গামিনী তাদের মধ্যে অন্যতম। ভারতে সন্তান প্রসব করা চতুর্থ চিতা সে'।



আরও পড়ুন: NEET-UG Counselling: অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছোল NEET-UG কাউন্সেলিং, আজ থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল


কুনো জাতীয় অরণ্যের আধিকারিকদেরও ধন্য়বাদ জানান ভূপেন্দ্র। কুনো জাতীয় অরণ্যকে চিতাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত করার জন্য় অভিনন্দন জানান। সেখানে নিশ্চিন্তে চিতাগুলি যে ঘোরাফেরা করতে পারছে, খেলে বেড়াচ্ছে, তার কৃতিত্ব দেন কুনো জাতীয় অরণ্যের অধিকারিক এবং কর্মীদের। এই মুহূর্তে কুনো জাতীয় অরণ্যে শাবক এবং পূর্ণবয়স্ক মিলিয়ে মোট ২৬টি চিতা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।  


এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কুনো জাতীয় অরণ্যে সন্তান প্রসব করে 'জ্বালা' নামের একটি চিতা। সে চারটি শাবকের জন্ম দেয়।  ১৯৫২ সালে ভারতে চিতাকে বিলুপ্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০২২ সালে ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতায় চিতাকে ফেরানোর কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালে নমিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয়। এর পর ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে আরও ১২টি চিতা আনা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। এবছর জানুয়ারি মাসে সেখানে নমিবিয়া থেকে আনা একটি চিতা মারা যায়। ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত কুনো জাতীয় অরণ্যে সাতটি পূর্ণবয়স্ক এবং তিনটি শাবক চিতা মারা গিয়েছে।