নয়াদিল্লি: অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে গেল ডাক্তারি প্রবেশিকা, NEET-UG-র কাউন্সেলিং। শনিবার থেকেই কাউন্সেলিং হওয়ার কথা ছিল। আর শনিবারই কাউন্সেলিং আপাতত স্থগিত রাখল মেডিক্যাল কাউন্সেলিং কমিশন। কবে হবে NEET-UG কাউন্সেলিং, তা পরবর্তী নোটিসে জানানো হবে বলে জানিয়েছে তারা। NEET-UG কাউন্সেলিং স্থগিত রাখতে সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন জমা পড়েছিল এর আগে, কিন্তু শীর্ষ আদালত তাতে রাজি হয়নি। (NEET-UG Counselling)
শুক্রবার সেই নিয়ে শুনানিতে আদালত বলে, "NEET-UG কাউন্সেলিং যখন ইচ্ছে শুরু করা, যখন ইচ্ছে বন্ধ করে দেওয়ার জিনিস নয়। এটি একটি প্রক্রিয়া। ৬ তারিখ থেকেই কাউন্সেলিং শুরু হবে।" কিন্তু শনিবার সকালেই কাউন্সেলিং স্থগিত করার কথা জানাল মেডিক্যাল কাউন্সেলিং কমিশন। আগামী ৮ জুলাই NEET-UG সংক্রান্ত আরও একাধিক আবেদনের শুনানি রয়েছে আদালতে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেপি পর্দিওয়ালা এবং জেবি পর্দিওয়ালা সেগুলির শুনানি করবেন। (NEET Scam 2024)
NEET-UG কাউন্সেলিং বেশ কয়েকটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। লিখিত পরীক্ষায় উতরোলে প্রথমে নাম নথিভুক্ত করতে হয়, তার পর কাউন্সেলিংয়ের জন্য জমা দিতে হয় ফি। নিজেদের পছন্দের কথা জানিয়ে, নথিপত্র সব আপলোড করে দিয়ে হয়। NEET-UG পরীক্ষা নেয় NTA, যার মাধ্যমে MBBS, BDS, AYUSH-এ ভর্তি হন পড়ুয়ারা।
গোড়া থেকেই NEET-UG নিয়ে বিতর্ক। প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন, নির্বিচারে গ্রেস মার্কস বিতরণ, এসব নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ন্য়াশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA). সেই আবহে গোটা পরীক্ষা বাতিলের দাবি উঠছে। NTA-র গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্তের দাবিও উঠেছে। NTA যদিও অনিয়ম এবং দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেছে।
এ বছর NEET-UG হয়েছিল ৫ মে। প্রথমে ফলপ্রকাশের কথা ছিল ১৪ জুন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন, ৪ জুনই ফলাফল প্রকাশিত হয়। দেখা যায়, ৭২০ নম্বর পেয়ে প্রথন হয়েছেন ৬৭ জন। কমপক্ষে ১৫৬৩ পরীক্ষার্থীকে নির্বিচারে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়। তাঁদের জন্য আবারও পরীক্ষার আয়োজন হয়। কিন্তু ৭৫০ জন পরীক্ষায় বসেননি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI). এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার ককেছে তারা। মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে নাম উঠে এসেছে আমন সিংহের। এর আগে, শুক্রবার শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দেয় কেন্দ্র। নতুন করে NEET-UG নেওয়ার বিরোধিতা করে জানায়, এতে শিক্ষাবর্ষের সময়সূচি ঘেঁটে যাবে। সার্বিক দুর্নীতির কোনও প্রমাণ মেলেনি, তাই পরীক্ষা বাতিল করা উচিত নয় বলেও জানায় তারা।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI