নয়াদিল্লি: চিনা সেনারা ‘ভাল সংখ্যায়’ পূর্ব লাদাখে ঢুকেছে, তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতও যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ মঙ্গলবার জানানোর পর রাহুল গাঁধী দাবি করলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার পরিষ্কার করে বলুক, চিনা সেনারা ভারতে প্রবেশ করেছে কি করেনি। চিনের সঙ্গে চলতি সীমান্ত সংঘাতের আবহে বুধবার রাহুল ট্যুইট করেন, ভারত সরকার দয়া করে নিশ্চিত করে বলবেন কি যে, কোনও চিনা সেনা ভারতে ঢোকেনি। পূর্ব লাদাখে বর্তমান সংঘাত নিরসনে ৬ জুন শীর্ষ সামরিক স্তরে ভারত, চিন বৈঠক করছে, এহেন একটি মিডিয়া রিপোর্টও শেয়ার করেন কংগ্রেস সাংসদ। সেই বৈঠকের খবর দিয়েছেন রাজনাথ।
চিনের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের সরকার নীরব বলে অভিযোগ করেন রাহুল। বলেন, সীমান্তের অবস্থা নিয়ে সরকার চুপ করে থাকায় সঙ্কটের সময় তীব্র জল্পনা, অনুমান, অনিশ্চয়তার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। অতএব সরকার স্পষ্ট করে বলুক, দেশবাসীকে জানাক, ঠিক কী হচ্ছে।
কংগ্রেসও সীমান্তের অচলাবস্থা নিয়ে সরকারকে স্বচ্ছতা দেখিয়ে চিন সীমান্তে স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধারে সব রাজনৈতিক দল ও দেশবাসীকে পাশে নিয়ে চলার দাবি তুলেছে।
গত তিন সপ্তাহ ধরে পূর্ব লাদাখের পাঙ্গং সো, গালোয়ান ভ্যালি, ডেমচক, দৌলত বাগ ওল্ডি এলাকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর বড় ধরনের সংঘাতে জড়িয়েছে, যা ২০১৭-য় ডোকলাম ঘিরে দুপক্ষের দ্বন্দ্বের পর সবচেয়ে বড় বিরোধে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়েছে। ভারত সরকার বরাবর বলছে, সমস্যা সমাধানে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে চিনের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।