প্রসেনজিৎ সাহা, ত্রিপুরা:সংবর্ধনা (Felicitation) বলে কথা! সেই উপলক্ষে ত্রিপুরার (Tripura) উপজাতি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী (Minister Vikas Dev Varma) বিকাশ দেববর্মার ওজনের সম পরিমাণ লাড্ডু বিতরণ করলেন দলীয় কর্মীরা। ঘটনায় হইচই এলাকায়।


কী হল?
মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর নিজের বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় প্রতিদিন সংবর্ধনায় ভাসছেন ত্রিপুরার উপজাতি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। রবিবার তাঁরই বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত খাসিয়ামঙ্গল বাজারে স্থানীয় কার্যকর্তাদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। দলীয় কর্মীরা তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে গিয়ে বাজারের দাঁড়িপাল্লায় বসিয়ে দেন। এরপর মন্ত্রীর সম ওজনের অর্থাৎ প্রায় ৭৪ কিলোগ্রাম ওজনের লাড্ডু সংশ্লিষ্ট বাজার-সহ গোটা এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে বিতরণ করা হয়।


ত্রিপুরায় জয়...
মার্চের গোড়াতেই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোয়। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় ম্যাজিক ফিগার ৩১। ২০১৮-র তুলনায় এবার বিজেপি ও IPFT জোটের আসন সংখ্যা ৪৪ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩-এ। ৫ বছর আগে যেখানে বামেরা একাই জিতেছিল ১৬টি আসনে, সেখানে এবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেও তারা পেয়েছে মাত্র ১৪টি। এদিকে, সবাইকে চমকে দিয়ে প্রদ্যোৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মার তিপ্রামথা জেতে ১৩টি কেন্দ্রে। দেখা যায়, টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে কোনও ক্রমে জেতেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। হাজারের সামান্য বেশি ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী আশিস কুমার সাহাকে হারান তিনি । তবে চড়িলাম কেন্দ্রে তিপ্রামথা প্রার্থীর কাছে হেরে যান বিদায়ী উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন। হার মানতে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকেও। এদিকে, ২০২১-এ পুরভোটের সময় থেকেই, ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। কিন্তু, গতবছর উপনির্বাচনে ত্রিপুরার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই চতুর্থ স্থানে শেষ করে তৃণমূল। প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তাদের। নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে তারা। 


 ফলাফল ঘোষণার পরে ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেছিলেন, 'এই ফলের জন্য খুশি। আগেই আশা করেছিলাম এরকম ফল হবে। যাইহোক বহুমত নিয়ে আসছি। তবে আমার আর্জি কোথাও যেন আনন্দ করতে গিয়ে, কারও নিরানন্দ না হয়।' বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'আগেই বলেছিলাম যে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসব। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে সে কথাই মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা এবং রাজনাথ সিংহ-সহ সমস্ত দলীয় কর্মীকে ধন্যবাদ।' তবে তিনি যে আরও বেশি সংখ্যক আসন আশা করেছিলেন তা নিয়েও লুকোচাপা করেননি মানিক। বলেন, 'সেটি কেন হল না তা নিয়ে ভোটের ফলপ্রকাশের পর কাঁটাছেড়া হবে। আপাতত জয়ের শংসাপত্র আনতে যাচ্ছি।' 


আরও পড়ুন:'মমতার ছবির নীচে আর সততার প্রতীক লিখতে পারছেন না দলের কর্মীরা', বিস্ফোরক মন্তব্য উদয়নের