নয়া দিল্লি: এবার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ( fodder scam case ) পঞ্চম মামলায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৬০ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। রাঁচির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই সাজাঘোষণা হয়। এদিকে শরীর স্বাস্থ্য ভাল নেই আরজেডি সুপ্রিমোর। রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (RIMS)-এর একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, সেখানে চিকিৎসাধীন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবের স্বাস্থ্যের অবস্থা গুরুতর কিন্তু স্থিতিশীল।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে হাসপাতালের স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, "তাঁর (লালু প্রসাদের) রক্তে শর্করা এবং রক্তচাপ ওঠানামা করছে। সকালে ডায়াবেটিসের মাত্রা 70 mg/dl রেকর্ড করা হয়েছিল কিন্তু বিকেলে 240 mg/dl পর্যন্ত বেড়ে গেছে। তার সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৩০ থেকে ১৬০-এর মধ্যে ওঠানামা করছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, লালু প্রসাদ যাদব কিডনির সমস্যা সহ একাধিক রোগে ভুগছেন। বর্তমানে লালু প্রসাদের কিডনি ২০ শতাংশ কাজ করছে। তবে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।"
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি (Fodder Scam) সংক্রান্ত একটি মামলায় নতুন করে দোষী সাব্যস্ত হন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। ডোরান্ডা ট্রেজারি কেস (Doranda treasury case) নামে পরিচিত এই মামলা। বেআইনিভাবে ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পশুখাদ্য মামলা এটি। এই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হলেন লালু।
১৯৯৬ সালে সিবিআই ডোরান্ডা পশুখাদ্য মামলায় মামলা দায়ের করে। ১৭০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।ই পশুখাদ্য মামলায় লালু ছাড়াও প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, বিহারের তৎকালীন প্রাণীসম্পদ দফতরের সচিব ড. আর কে রানা, প্রাণীসম্পদ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কে এম প্রসাদ অভিযুক্ত।