কিন্নৌর(হিমাচলপ্রদেশ) : হিমাচলপ্রদেশের কিন্নৌর জেলায় বড়সড় ধস। ৪০-এর বেশি জন ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানকার ডেপুটি কমিশনার আবিদ হুসেন সাদিক-কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হিমাচল রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের বাস সহ একাধিক গাড়িতে ৪০-এর বেশি জন যাত্রী যাচ্ছিলেন। তাঁরা ধসের মুখে পড়েন। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে গেছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন আইটিবিপি-র জওয়ানরা।
আইটিবিপি-র তরফে জানানো হয়েছে, কিন্নৌর জেলার রেকং পিও-শিমলা হাইওয়েতে বেলা ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। এইচআরসিটিস-র বাস, একটি ট্রাক ও অন্যান্য গাড়ি ধ্বংসস্তূপের তলায় চলে গেছে।
বর্ডার পেট্রলিং অর্গানাইজেশনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে গেছে তাদের বাহিনী। এই মুহূর্তে যাঁরা আটকে পড়েছেন তাঁদের উদ্ধারকাজ চলছে। ঘটনার প্রসঙ্গে হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেন, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে উদ্ধারকাজ চালাতে বলা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে, একটি বাস ও একটি গাড়ির মধ্যে ধাক্কা লাগে। তবে এবিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার খবর পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আইটিবিপি-র ১৭, ১৯ ও ৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। ঘটনার কথা জানতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেন। এর পাশাপাশি এনিয়ে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এনটাই জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।
সম্প্রতি কিন্নৌরে বড়সড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ৯ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিলে। এর পাশাপাশি স্থানীয় এক বাসিন্দা ও আরও তিনজন জখম হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, তাঁদের টেম্পোর ওপর ভারী ভারী বোল্ডার পড়ে যায় ধসের জেরে। কিন্নৌরের বাতসেরি-সাংলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে হিমাচলপ্রদেশে বারবার ধস এবং বন্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভূতাত্ত্বিকরা। এই রাজ্যে গত বছরের তুলনায় ধসের ঘটনা বেড়েছে ১১৬ শতাংশ। ১৩ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৩৫টি বড়সড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।