নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের ফলে লকডাউনের কথা মাথায় রেখে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বড়িয়ে দিল কেন্দ্র। এরপরেও রিটার্ন জমা দিতে দেরি হলে জরিমানার হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এ কথা জানিয়েছেন। অন্য এটিএম থেকে আগামী ৩মাস টাকা তুললে কোনও চার্জ ধার্য হবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।



ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড যুক্ত করার সময়সীমাও ৩১ মার্চের বদলে ৩০ জুন করা হয়েছে। এ নিয়ে অষ্টমবার বাড়ল এই সময়সীমা। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য আধার কার্ড ও প্যান নম্বর জমা করা অত্যাবশ্যক হয়েছে। এই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যবসায়ীরা বারবার অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন। করোনার জেরে জিএসটি রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমাও বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য কর্পোরেট-সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ফান্ড থেকে ৩০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনার জেরে আর্থিক কাজকর্ম যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সে কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র খুব শিগগিরই একটি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এছাড়া আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩ মার্চের বদলে ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে কেন্দ্র। এরপরেও দেরি করে রিটার্ন জমা পড়লে জরিমানা ১২ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যদিকে শ্রম মন্ত্রক রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে জানিয়েছে ৫২,০০০ কোটি টাকার যে সেস ফান্ড রয়েছে, সেখান থেকে কনস্ট্রাকশন ওয়েলফেয়ার বোর্ডে নথিবদ্ধ ৩.৫ কোটি নির্মাণকর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে। ব্যবসায়ীরাও কম সুদে করোনাভাইরাস ক্যাশ লোনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছেন, এর ফলে সারা দেশে মসৃণভাবে জিনিসপত্র সরবরাহ করা যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। কর সংক্রান্ত ঝামেলা মেটাতে যে বিবাদ সে বিশ্বাস প্রকল্প চালু করা হয়েছে, তা ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, এই প্রকল্পে মূল অর্থ প্রদানের ওপর যে ১০ শতাংশ জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল, তাও দিতে হবে না।