ধবন আবার বলেন, সারা দুনিয়া যখন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ব্যস্ত, তখন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শুধু কাশ্মীর নিয়ে ভেবে চলেছেন। কাশ্মীর আমাদের চিরকাল ছিল, আছে, থাকবেও। চাও তো ২২ কোটি নাও, আমাদের একটাই সওয়া লাখের সমান। বাকিটা গুনে নিও!
প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতে ধর্মীয় নির্যাতন চালাচ্ছেন বলে দাবি করে আফ্রিদির একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়। তারপরই তাঁর কড়া সমালোচনা করেন হরভজন সিংহ, যুবরাজ সিংহ, গৌতম গম্ভীরের মতো তাঁর সমসাময়িক কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটার, যাঁদের কারও কারও সঙ্গে আফ্রিদির ব্যক্তিগত সম্পর্ক মধুর বলে শোনা যায়। গত মাসে আফ্রিদির ফাউন্ডেশনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পর্বে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক মানুষজনের জন্য চাঁদা তোলার অভিযান সমর্থনে ভিডিও পোস্ট করে তাতে ডোনেট করার আবেদন করেন হরভজন, যুবরাজ। এজন্য দেশের ভিতরে সমালোচনাও হয় তাঁদের।
আফ্রিদির বিতর্কিত ট্যুইটের পর যুবরাজ লেখেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আফ্রিদির মন্তব্যে সত্যিই আঘাত পেয়েছি। দেশের হয়ে খেলা একজন দায়িত্বশীল ভারতীয় হিসাবে কখনও এটা মানতে পারব না। মানবতার স্বার্থে তোমার ডাকে একটা আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আর কখনও করব না। যুবরাজের ট্যুইট রিট্যুইট করে হরভজনও লেখেন, যা-ই হোক, আর কখনও নয়।
গত শুক্রবার আফ্রিদি ট্যুইট করেন, কাশ্মীরীদের যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে হলে ধর্মীয় বিশ্বাসের দরকার হয় না।সঠিক স্থানে একটা সঠিক হৃদয় থাকা চাই। কাশ্মীরকে রক্ষা করুন।
এই প্রথম নয়, আফ্রিদি কাশ্মীর নিয়ে সক্রিয় ছিলেন আগেও। ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পর ‘কাশ্মীরী ভাইদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করতে’ নিয়ন্ত্রণরেখায় যান, কাশ্মীর প্রশ্নে রাষ্ট্রপুঞ্জ, আমেরিকার হস্তক্ষেপও দাবি করেন তিনি।