নয়াদিল্লি: হরভজন সিংহ, যুবরাজ সিংহের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে শালীনতার সীমা ছাড়ানো মন্তব্যের জন্য শাহিদ আফ্রিদিকে তুলোধনা করলেন সুরেশ রায়না, শিখর ধবনও। মোদি ও ভারত-বিদ্বেষী মন্তব্যের পাল্টা প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডারের কাশ্মীরের বিষয়টা ভারত সরকারকে ছেড়ে নিজের ‘ব্যর্থ দেশের’ জন্য কিছু করা উচিত বলে ট্যুইট করেন রায়না। তাঁর নাম না করে লেখেন, বাহ! নিজের গুরুত্ব, প্রাসঙ্গিকতা দেখাতে একটা লোক কী-ই না করতে পারে, তাও এমন একটা দেশের জন্য, যে ভিক্ষের ওপর বেঁচে আছে। তাই ভাল হয়, তোমার ব্যর্থ রাষ্ট্রের জন্য কিছু করো আর কাশ্মীরটাকে একা থাকতে দাও! আমি একজন গর্বিত কাশ্মীরী আর চিরকাল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ আছে, থাকবেও। জয় হিন্দ!


ধবন আবার বলেন, সারা দুনিয়া যখন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ব্যস্ত, তখন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শুধু কাশ্মীর নিয়ে ভেবে চলেছেন। কাশ্মীর আমাদের চিরকাল ছিল, আছে, থাকবেও। চাও তো ২২ কোটি নাও, আমাদের একটাই সওয়া লাখের সমান। বাকিটা গুনে নিও!


প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতে ধর্মীয় নির্যাতন চালাচ্ছেন বলে দাবি করে আফ্রিদির একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়। তারপরই তাঁর কড়া সমালোচনা করেন হরভজন সিংহ, যুবরাজ সিংহ, গৌতম গম্ভীরের মতো তাঁর সমসাময়িক কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটার, যাঁদের কারও কারও সঙ্গে আফ্রিদির ব্যক্তিগত সম্পর্ক মধুর বলে শোনা যায়। গত মাসে আফ্রিদির ফাউন্ডেশনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পর্বে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক মানুষজনের জন্য চাঁদা তোলার অভিযান সমর্থনে ভিডিও পোস্ট করে তাতে ডোনেট করার আবেদন করেন হরভজন, যুবরাজ। এজন্য দেশের ভিতরে সমালোচনাও হয় তাঁদের।
আফ্রিদির বিতর্কিত ট্যুইটের পর যুবরাজ লেখেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আফ্রিদির মন্তব্যে সত্যিই আঘাত পেয়েছি। দেশের হয়ে খেলা একজন দায়িত্বশীল ভারতীয় হিসাবে কখনও এটা মানতে পারব না। মানবতার স্বার্থে তোমার ডাকে একটা আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আর কখনও করব না। যুবরাজের ট্যুইট রিট্যুইট করে হরভজনও লেখেন, যা-ই হোক, আর কখনও নয়।
গত শুক্রবার আফ্রিদি ট্যুইট করেন, কাশ্মীরীদের যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে হলে ধর্মীয় বিশ্বাসের দরকার হয় না।সঠিক স্থানে একটা সঠিক হৃদয় থাকা চাই। কাশ্মীরকে রক্ষা করুন।
এই প্রথম নয়, আফ্রিদি কাশ্মীর নিয়ে সক্রিয় ছিলেন আগেও। ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পর ‘কাশ্মীরী ভাইদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করতে’ নিয়ন্ত্রণরেখায় যান, কাশ্মীর প্রশ্নে রাষ্ট্রপুঞ্জ, আমেরিকার হস্তক্ষেপও দাবি করেন তিনি।