কলকাতা: কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় পথে নেমেছেন হাজার হাজার কৃষক। কার্যত অবরুদ্ধ দিল্লির রাজপথ। শীতে কাঁপছে রাজধানী। গত এক দশকের মধ্যে শীতলতম নভেম্বর হওয়ার রেকর্ড গড়ার পথে রাজ্য। কিন্তু, প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে আন্দোলনে অনড় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার কৃষক। এদিকে আন্দোলনের নেপথ্যে খালিস্তানি ও মাওবাদীদের হাত আছে বলে আক্রমণ করেছে বিজেপি।

মোদি সরকারের কৃষি নীতি বাতিলের দাবিতে এই আন্দোলনের আঁচ এসে পড়েছে এই  বাংলাতেও। সোমবার পথে নামে বাম ও কংগ্রেস। পৃথক পৃথক ভাবে কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয় দুই দল। এদিন কৃষি আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে এসএফআই। ধর্মতলা থেকে শিয়ালদা স্টেশন অবধি মিছিল করে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু। মৌলালিতে সামান্য সময়ের জন্য অবরোধ করতে যায় প্রদেশ যুব কংগ্রেস। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়।

এই নিয়ে আসরে নেমেছে বিজেপি। কৃষকদের আন্দোলনের মধ্যেও অন্য গন্ধ পাচ্ছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য ট্যুইট করেছেন। লিখেছেন,  ‘২৩ নভেম্বর নয়া কৃষি আইন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল অরবিন্দ কেজরীবালের নেতৃত্বাধীন দিল্লি সরকার। তা কার্যকর করতেও শুরু করে দিয়েছিল তারা। কিন্তু খলিস্তানি এবং মাওবাদীরা আইনের বিরোধিতায় এগিয়ে আসতেই, রাজধানীকে ছারখার করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন। কৃষকদের নিয়ে কখনওই মাথাব্যথা ছিল না। গোটাটাই রাজনীতি’।

বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপিকে সাহায্য করতে আসা আরেক বিজেপি নেতা দুষ্যন্তকুমার গৌতমের আবার দাবি‘‘এই বিক্ষোভের সঙ্গে কৃষকদের কোনও সম্পর্কই নেই। সন্ত্রাসবাদী এবং দেশবিরোধী শক্তি আন্দোলন হাইজ্যাক করেছে। বিলাসবহুল গাড়ি এবং কেতাদুরস্ত জামাকাপড় পড়ে রাজধানীর বুকে যারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তারা কখনও কৃষক হতে পারে না।’’

পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, আন্দোলনরত হাজার হাজার কৃষকের সমস্যার সমাধান না করে, তাদের এভাবে সন্ত্রাসবাদী বলে দাগিয়ে দেওয়াই বুঝিয়ে দিচ্ছে মোদি সরকার আসলে ধনী ও পুঁজিপতিদেরই সরকার, সাধারণের নয়।