নয়াদিল্লি: লাদাখে চিনের মোকাবিলায় নয়া অস্ত্র ভারতের হাতে। শীঘ্রই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক হাতে পেতে চলেছে ভারত। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এবং বেসরকারি সংস্থা Larsen and Toubro (L&T) মিলে হালকা ওজনের এই ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে 'Zorawar'। লাদাখে চিনের মোকাবিলায় ওই ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হবে বলে খবর। (Light Tank Zorawar)
এই মুহূর্তে চূড়ান্ত পর্যায়ে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে 'Zorawar' ট্যাঙ্কটিকে। DRDO-র প্রধান সমীর ভি কামাত এই প্রকল্পের তদারকিতে রয়েছেন। গুজরাতের হাজিরায় L&T-র কারখানায় হাজির হন তিনি। সবকিছু খতিয়ে দেখেন। সেখানে একটি 'Zorawar' ট্যাঙ্ক চালিয়েও দেখা হয়। যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে মাটি থেকে খাড়া উচ্চতায় নিমেষে উঠে যেতে দেখা গিয়েছে একটি ট্যাঙ্ককে। আবার ঢালু রাস্তা ধরে নেমেও আসে। (DRDO News)
পূর্ব লাদাখের বন্ধুর ভূমির উপর ওই ট্যাঙ্ক সহজেই চালানো যাবে বলে জানা গিয়েছে। ট্যাঙ্কটি উভচরও, সমতল থেকে পাহাড় চড়তে পারে যেমন, তেমনই নদীও পার করতে পারে। ভারী ওজনের T-72 এবং T-90 ট্যাঙ্কের চেয়ে সেটি চালানো এবং নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ। আপাতত পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ২০২৭ সাল নাগাদ হালকা ওজনের 'Zorawar' 'ট্যাঙ্ক সেনার হাতে উঠে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মাত্র দু'বছরের মধ্যেই হালকা ওজনের ওই ট্যাঙ্কটি তৈরি করা গিয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারত যে অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে, 'Zorawar'-ই তার প্রমাণ বলে মত DRDO-র গবেষকদের। রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধে ভারী ইঞ্জিনের ট্যাঙ্ক নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। সেই থেকে শিক্ষা নিয়ে হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক থেকে সরাসরি আক্রমণ হানার প্রযুক্তি বসানো হয়েছে।
DRDO জানিয়েছে, 'Zorawar' ট্যাঙ্কের ওজন ২৫ টন। এত কম সময়ের মধ্যে ওই ট্য়াঙ্কটি তৈরি করে নজির তৈরি করেছে তারা। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে সেনার হাতে ৫৯টি ট্যাঙ্ক তুলে দেওয়া হবে। আপাতত ২৯৫টি ট্যাঙ্ক তৈরির পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। C-17 বিমানে চাপিয়ে একবারে দু'টি ট্যাঙ্ক সরবরাহ করতে পারে বায়ুসেনা। পার্বত্য অঞ্চলে উচ্চগতিতে চালানো যাবে ওই ট্যাঙ্ক। আগামী ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে আশা।