একই ছবি দেখা গিয়েছে কলকাতায়। এদিন সকালে মদের দোকান খোলার খবর পেয়ে হাজরা মোড়ের কাছে ভিড় জমে। লকডাউনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ফুটপাথে লম্বা লাইন পড়ে যায়। লাঠিচার্জ করে ভিড় হঠায় কালীঘাট থানার পুলিশ।
জেলায় জেলায় ভিড় উপচে পড়ে মদের দোকানের সামনে। সামাজিক দূরত্ববিধি শিকেয় তুলেই একপ্রকার ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্রেতা।
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মদের দোকানের সামনে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে। একসঙ্গে ৫ জনের বেশি লাইনে দাঁড়াতে পারবেন না। একক দোকান থেকেই মদ বিক্রি হবে। শপিং মল বা বাজারে মদের দোকান বন্ধ থাকবে।
এই প্রেক্ষাপটেই নতুন নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের আবগারি দফতর। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে,
• কনটেনমেন্ট জোনে মদের দোকান খোলা যাবে না। তার বাইরেই ‘স্ট্যান্ড অ্যালোন’ মদের দোকান খোলা যাবে।
• শপিং মল বা কমপ্লেক্সে থাকা মদের দোকান খোলা যাবে না।
• ক্লাব, হোটেল বা রেস্তোরাঁর বার বন্ধ থাকবে।
• আবগারি দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট দোকানের তালিকা জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং স্থানীয় থানায় পাঠানো হবে।
• ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা প্রশাসনকে পুলিশ ও আবগারি দফতরের সঙ্গে সমন্বয় স্থাপন করে চলতে হবে।
• দোকানের বাইরে নতুন দাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
• শুধুমাত্র সিল করা বোতলই বিক্রি করা যাবে। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে মদ্যপান চলবে না।
• দোকানের ভিড়় কমাতে অনুমতি দেওয়া হবে ফোনে বা ইলেট্রনিক অর্ডারের ভিত্তিতে মদের হোম ডেলিভারি।
• মাস্ক না পরে এলে মদ বিক্রি করা হবে না।
• ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে, কিনতে হবে মদ।
• লাইনে ৫ জনের বেশি দাঁড়ানো যাবে না।
• ভিড় এড়াতে এবং ক্রেতাদের লাইন ঠিক রাখার জন্য দোকান কর্তৃপক্ষকেও দায়িত্ব নিতে হবে।
• একসঙ্গে একজনকে ২টির বেশি বোতল কেনা বা বিক্রি করা যাবে না।
• মদের দোকানে রাখতে হবে স্যানিটাইজার।
• প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মদের দোকান।