LIVE UPDATE করোনাভাইরাস: ইতালিতে একদিনে মৃত ১৬৮, দেশজুড়ে জারি 'রেড জোন' কোয়ারান্টাইন
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেলেন ৩১ জন। এর মধ্য়ে কিং কাউন্টিতেই মারা গিয়েছেন ২২ জন। গত ১০ জানুয়ারি, আমেরিকায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ মেলে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জন সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। এর মধ্যে কিং কাউন্টির সংখ্যা প্রায় ২০০।
করোনা-আতঙ্কে ১ মে পর্যন্ত ইতালিগামী সব ফ্লাইট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল এয়ার কানাডা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, টরন্টো থেকে শেষ বিমান ইতালির উদ্দেশে রওনা দেয় মঙ্গলবার। আবার রোম থেকে ওই ফ্লাইট ফেরে বুধবার।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাকিস্তানের ১৯ জন নাগরিক। এর মধ্যে সিন্ধ প্রদেশেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। এছাড়া, গিলগিট-বালতিস্তানে তিনজন এবং বালোচিস্তানে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। গত সপ্তাহে একজনকে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে, পাকিস্তান সুপার লিগের ম্যাচ সূচি অনুয়ায়ী হবে বলে জানিয়েছে সিন্ধ প্রদেশ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী নাদিন ডরিস। তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ৬২ বছরের নাদিন এখন অনেকটাই সুস্থ বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে, মন্ত্রী তাঁর ৮৪ বছর বয়সী মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে ভীষণ চিন্তিত।
করোনাভাইরাসের প্রকোপে ইতালিতে গত ২৪-ঘণ্টায় ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যার নিরিখে এটিই এই দেশের সর্বোচ্চ। এখনও পর্যন্ত ৬৩১ জন এই মারণ ভাইরাসে মারা গিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।
ইতালি জুড়ে 'রেড জোন' কোয়ারান্টাইন জারি করল ইতালি প্রশাসন। এর ফলে, প্রায় ৬ মানুষ বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিজেদের 'রেড জোন' কোয়ারান্টাইনে পাবেন। প্রাথমিকভাবে, উত্তর ইতালিতে এই নির্দেশ কার্যকর ছিল। যার ফলে, ১.৬ কোটি মানুষের ওপর তা কার্যকর ছিল। কিন্তু, বুধবার থেকে এই নির্দেশিকা গোটা দেশে বলবৎ করা হয়। ফলে, নিষিদ্ধ হয়েছে জনসমাগম। আগামী মাস পর্যন্ত স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। যাতায়াতের ওপরও বিভিন্ন শর্তাবলি চাপানো হয়েছে। গণ-পরিবহন সচল থাকলেও, ইতালির প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রেক্ষাপট
বেজিং: নোভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব। চিনের বাইরে ১০৫টি দেশে বাসা বেঁধেছে করোনা ভাইরাস। চিন-সহ গোটা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার হাজার। আক্রান্ত প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। শুধুমাত্র চিনেই মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৫৮ জনের। চিনের বাইরে মারণ ভাইরাস সবথেকে বেশি থাবা বসিয়েছে ইতালিতে। সে দেশে ৬৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রয়েছে ইরান। সেখানে এখনও পর্যন্ত ২৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ৬০, স্পেনে ৩৬, ফ্রান্সে ৩৩ জনের মৃত্যু। আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা ৩১। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নিউইয়র্কে প্রথমবার বন্ধ অটো শো। অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে গাড়ির প্রদর্শনী। ব্রিটেনে করোনা আক্রান্ত জুনিয়ার হেলথ মিনিস্টার। পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯। সংক্রামিতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সিন্ধ প্রদেশে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫। করোনা আতঙ্কে ১ মে পর্যন্ত ইতালিগামী সমস্ত বিমান বাতিল করেছে কানাডা সরকার। তুরস্কেও খোঁজ মিলেছে করোনা আক্রান্তের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -