সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, লকডাউন পর্বে বহু মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে এই ট্রাস্ট। ওই পরিবারের ছোট ছেলে বিষ্ণুভাতলা যাগনা নারায়ণ আভাদানি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ কিলো খাবার তাঁরা বন্টন করেন শহরের বস্তি এলাকায়। তিনি বলেন, "কিন্তু এই কাজ করে আমরা সন্তুষ্ট হইনি। কারণ তাঁদের জন্য যথেষ্ট খাবারের ব্যবস্থা করা যায়নি। বহু পরিবারই খাবারই পায়নি। তাই আমি এবং আমার ভাই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন পরিবার খুঁজে বের করি যাদের সাহায্যের প্রয়োজন। এমন ১৫টি এলাকায় দেখা যায় ৬ হাজার মানুষের জীবনে পরিবর্তন এসেছে অতিমারীর জন্য। শুধু তাই নয়, করোনার জেরে তাঁরা খাবারের কষ্টেও ভুগছিলেন।"
তিনি জানিয়েছেন, এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় খাবার দেওয়া হবে সংশ্লিষ্টদের। নারায়ণ আভাদানি বলেন, "এই কাজের জন্য স্থানীয় রাঁধুনীদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। বেতনের বিনিময়ে রান্নার কাজে নিয়োগ করি তাঁদের। সংশ্লিষ্ট ১৫টি এলাকায় খাবার সরবরাহের কাজ শুরু করি।" পরে এই কাজে আরও অনেকে এগিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, "চলচ্চিত্র পরিচালক হরিশ শঙ্কর, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও এই কাজে যুক্ত হন। সারা দেশের বহু মানুষ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন।" প্রত্যেকের সাহায্য নিয়ে ১২০ দিন এই কাজ হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের ওই পরিবার ২ কোটি টাকা খরচ করেছে। আর এতে উপকৃত হয়েছেন ৬ লক্ষ মানুষ।