উল্লেখ্য, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২ জনপ্রতিনিধির করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ২ জনপ্রতিনিধিই তৃণমূল কংগ্রেসের। একজন তমোনাশ ঘোষ এবং অন্যজন হলেন সুজিত বসু।
এঁদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। কেবল বিধানসভার সভ্যই নন, এই বিধায়ক ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সময়ের ছায়াসঙ্গী। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই দলের কোষাধক্ষের দায়িত্বে ছিলেন এই নেতা। গত মাসে তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় সতীর্থের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার তৃমমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
তমোনাশ ঘোষ ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। যদিও সুজিত বসু চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন এবং এখন আইসোলেশনেই রয়েছেন। এই ২ জনপ্রতিনিধির পর এবার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরও সামনে এল। যদিও এর মাঝে শোনা গিয়েছিল প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র এবং তাঁর পরিবার নাকি করোনা আক্রান্ত। মদন মিত্রের করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও সেই দাবি নসাৎ করে দিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের ‘হেভিওয়েট নেতা’ মদন মিত্র।