নয়াদিল্লি: লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনায় কাঠগড়ায় মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিনহা। তাঁর দফতর থেকে ইস্যু করা পাস নিয়েই তাণ্ডবকারীরা লোকসভায় প্রবেশ করেন বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই প্রতাপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সেই আবহে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে জবাবদিহি করলেন প্রতাপ। লোকসভায় ঢোকার পাস দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন। (Lok Sabha Security Breach)


বৃহস্পতিবার লোকসভার স্পিকারের কাছে জবাবদিহি করেন প্রতাপ। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সাগর শর্মার বাবা তাঁর সংসদীয় এলাকাতেই থাকেন। তিনিই লোকসভায় ঢোকার পাসের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। ছেলে সংসদের কাজকর্ম দেখতে আগ্রহী বলে জানিয়েছিলেন। প্রায়শই এমন পাস দিয়ে থাকেন প্রতাপ, যাতে সংসদের কাজকর্ম কাছ থেকে দেখতে পান দেশের নাগরিকরা। (BJP MP Pratap Simha)


কিন্তু তাঁর দেওয়া পাস যে এই কাজে ব্যবহৃত হবে, তা টের পাননি বলে জানিয়েছেন প্রতাপ। ভিজিটর্স পাস নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত সচিবের সঙ্গে লাগাতার সাগরের যোগাযোগ ছিল বলেও জানিয়েছেন। স্পিকারকে জানিয়েছেন, এর বাইরে তাঁর কাছে আর কোনও তথ্য নেই। যা জানতেন, পুরোটাই জানিয়েছেন।


২০১৪ সালে ৪৩.৪৬ শতাংশ ভোটে মহীশূরের সাংসদ নির্বাচিত হন প্রতাপ। ২০১৯ সালে ফের বিজয়ী হন, সে বার প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৫২.২৭ শতাংশ। রাজনীতিতে আসার আগে সাংবাদিকতা করতেন। ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনীও লেখেন। কৃষক পরিবারের সন্তান প্রতাপ একাধিক বার জানিয়েছেন, মোদিই তাঁর অনুপ্রেরণা। কিন্তু লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সংসদের প্রশ্ন জমা দেওয়ার ওয়েবসাইটের লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড অন্যকে দেওয়ার জন্য যদি মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করা হয়, এত গুরুতর ঘটনার জন্য, যার সঙ্গে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা জড়িয়ে, তার জন্য় প্রতাপকে বহিষ্কার করা হবে না কেন, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন: Derek O'Brien Suspended: লোকসভার নিরাপত্তা লঙ্ঘন, তুলকালাম রাজ্যসভায়, ডেরেককে সাসপেন্ড করলেন ধনকড়


বুধবার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন, জিরো আওয়ারে লোকসভায় তাণ্ডব চালান দুই যুবক। গ্যালারি থেকে লাফিয়ে নেমে আসেন। সাংসদের ডেস্ক টপকাতে টপকাতে স্পিকারের দিকে ছুটে যান। হাতে থাকা স্মোক ক্যানিস্টার্স থেকে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা স্লোগানও তোলেন। সংসদভবনের বাইরে একই ঘটনা ঘটান তাঁদের অন্য দুই সহযোগী, এক মহিলা এবং এক যুবক। 


ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, উচ্চশিক্ষার পরও চাকরি পাননি অভিযুক্তরা। তা ছাড়াও চারপাশের ঘটনাবলী দেখে হতাশ ছিলেন। মণিপুরের অশান্তি হোক বা কৃষক আন্দোলন, খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার নিয়ে কেউ ভাবিত নন দেখে প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিলেন।  ধৃতদের বিরুদ্ধে UAPA ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। সাত দিনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁদের। এই ঘটনায় সংসদভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।


The Lok Sabha MP conveyed to the Lok Sabha Speaker that he possessed no additional information beyond what he had already stated.