সৌমিক সাহা, লন্ডন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে লন্ডনে (london) আয়োজন করা হয়েছিল ভার্চুয়াল সেমিনারের (virtual ceremony)। সেখানে উঠে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নানা কথা। নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মার্ক টালি।
বাংলা ভাষাকে সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনই পরে স্বাধীনতা সংগ্রামের আকার নেয় বাংলাদেশে। মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তায় স্বাধীনতা মেলে। জন্ম হয় বাংলাদেশের!!
একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে লন্ডনে আয়োজন করা হয়েছিল ভার্চুয়াল সেমিনারের। সেখানেই উঠে এল সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার নানা কথা।ভার্চুয়াল সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মুজিবর রহমানের প্রথম অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রেহমান সোবহান।
কীভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল? কীভাবে ভারত পাশে থেকেছিল? সেই সব কথাই তুলে ধরেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতরা। ভারতের দিকে হাত বাড়ানোয়, পাকিস্তান ভেঙে দু’টুকরো করে দিয়েছিলেন ইন্দিয়া গান্ধী। সেই অভিজ্ঞতার ঝুলি উপুর করে দিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মার্ক টালি।
আজ থেকে পাঁচ দশক আগে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতের কাছে আত্ম সমর্পণ করে পাকিস্তান সেনা। স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, বঙ্গীয় সমাজে বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে বাঙালির আত্ম-অম্বেষায় যে ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটে, তারই সূত্র ধরে বিভাগোত্তর পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তার চরম প্রকাশ ঘটায়।
ঐদিন সকালে ঢাকা ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আবুল বরকত, আবদুল জব্বর, আবদুস সালাম সহ কয়েকজন ছাত্রযুবা হতাহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ঢাকা কলেজে হোস্টেলে সমবেত হয়। নানা নির্যাতন সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরা প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় রাজপথে নেমে আসে।