তিরুবনন্তপুরম: কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব পাশ হল কেরল বিধানসভায়। আর এই প্রস্তাবে সমর্থন জানালেন কেরলের বিজেপি বিধায়ক। বৃহস্পতিবার এই পাশ হয়। আর সেখানেই সমর্থন জানান দলের একমাত্র বিধায়ক ওলানচেরি রাজাগোপাল।


এদিন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার পি শ্রীরামকৃষ্ণান জানান, বিশেষ অধিবেশনে মৌখিক ভোটে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সেই সময় অন্য বিরোধী বিধায়করা ওয়াক আউট করলেও, রাজাগোপাল করেননি। পরে প্রস্তাবে সম্মতি জানান তিনি। স্পষ্টতই, বামশাসিত রাজ্যে বিজেপি বিধায়কের এই সমর্থন অস্বস্তি বাড়াল গেরুয়া শিবিরে।


অটল বিহারী বাজপেয়ির মন্ত্রিসভায় রেল প্রতিমন্ত্রী ছিলেন রাজাগোপাল।  তাঁর এই সমর্থনের পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি। বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দার বলেন, আমরা দেখব, উনি বিধানসভায় কী বলেছিলেন। তিনি আরও বলেন, রাজাগোপালের মতো একজন বর্ষীয়ান নেতার দলের বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গি আছে বলে মনে হয় না।


চলতি বছর সেপ্টেম্বরে পাশ হয় ৩ কৃষি আইন। বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার বারবার দাবি করেছে, এই আইনের জেরে লাভবান হবে কৃষকরা। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের এই দাবি মানতে নারাজ কৃষকরা। এর আগেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যে তিনটি কৃষি আইন এনেছে, তার বিরুদ্ধে তাঁরা বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করাবেন। সেইমতো কেরল বিধানসভার বিশেষ অধিবেশেন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হয়েছে। ৩ কৃষি আইন পাশ হওয়ার পর অক্টোবর মাসে প্রথম এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনে পঞ্জাব সরকার।


উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ৬ দফায় বৈঠক হয় কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে কৃষকদের। বুধবার কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের বৈঠকে নমনীয়তার ছবি ধরা পড়েছে। আন্দোলনের চাপে বুধবার কৃষকদের দুটি দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। দিল্লির দূষণ কমাতে রাজধানী ও সংলগ্ন রাজ্যে ধানিজমির গোড়া পোড়ানোর দায়ে ৫ বছর পর্যন্ত জেল ও ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার ব্যবস্থা করে অধ্যাদেশ জারি হয়েছিল। কৃষকদের তার মধ্যে রাখা হবে না বলে জানিয়েছে সরকার। কৃষকদের দাবি ছিল, আগে সেচের জন্য যে-ভাবে বিদ্যুতে ভর্তুকি মিলত, সেই ভাবেই ভর্তুকি বজায় রাখতে হবে। বিদ্যুৎ আইনে প্রস্তাবিত সংশোধনী বিলে তা বদল করা যাবে না। বৈঠকে সেই দাবিও মেনে নিয়েছে সরকার। ৪ জানুয়ারি সপ্তম দফায় বৈঠকে বসবে দুপক্ষ।