ভোপাল: গরু, গবাদি পশু রক্ষায় গো ক্য়াবিনেট তৈরির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। ২২ নভেম্বর গোপাষ্টমী উপলক্ষ্যে আগর মালওয়ায় তার প্রথম বৈঠক। বুধবার ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেছেন, রাজ্যে গবাদি পশুদের দেখভাল, সুরক্ষার স্বার্থে গো ক্যাবিনেট গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পশুপালন, বন, পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন, রাজস্ব, স্বরাষ্ট্র ও কৃষক উন্নয়ন দপ্তরকে গো ক্যাবিনেটে সামিল করা হবে।


২০১৭ সালে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার ভারতের প্রথম গো অভয়ারণ্য বানায় আগর মালওয়ায়। খরচ হয়েছিল প্রায় ৩২ কোটি টাকা। ভোপালের ১৯০ কিমি উত্তরপশ্চিমে ৪৭২ হেক্টর এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা অভয়ারণ্য় অবশ্য আর্থিক সঙ্কটের জেরে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে হয়।
চলতি বছরেই রাজ্যে সরকারি গোশালাগুলিতে ১ লক্ষ ৮০ হাজারের ওপর গরুকে খাওয়াতে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করে মধ্যপ্রদেশ সরকার। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেটে প্রকাশ, গত আর্থিক বছরে পশুপালন দপ্তরের অর্থবরাদ্দ ১৩২ কোটি টাকা থেকে ৯০ শতাংশ কাটছাঁট করে ১১ কোটি করা হয়। মধ্যপ্রদেশ সরকারের জনৈক কর্তা আগস্টে বলেছিলেন, এটা গরু পিছু আগের দৈনিক বরাদ্দ অর্থ থেকে ২০ টাকা কম। পাশাপাশি গোরক্ষায় আমজনতার থেকে ডোনেশন গ্রহণের যে সর্বপ্রথম স্কিম চালু হয়, তাতেও উঠেছে মাত্র ২২ হাজার টাকা। স্কিমটা ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। তিনি এও জানান, স্কিমটা কাজে না আসায়, বাজেটও কাটছাঁট হওয়ায় পশুপালন দপ্তর বিরাট সমস্যায় পড়ে কেননা তাদের সাত হাজার নতুন গোশালা তৈরির টার্গেট দেওয়া হয়েছিল।
আরেক সরকারি অফিসার বলেন, দপ্তরের গোরক্ষার এক মাসের বাজেট ১১.৫০ কোটি টাকা, যার মধ্য়ে গোশালা চালানো, গরুর খাবারের আয়োজন করা, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণ ও আরও সব খরচ ধরা। কিন্তু চলতি বছরে সরকার বরাদ্দ করে মোট ১১.৮০ কোটি টাকার বাজেট। এই অর্থে গরুকে খাওয়ানো ছাড়া বাকি সব কাজ বন্ধ রাখলেও গোশালাগুলোয় ১.৮০ লক্ষ গরুকে খাওয়াতে বছরে থাকছে মাত্র ৬০০ টাকা। অর্থাভাব থাকায় মধ্যপ্রদেশে ১৩০০-র ওপর গোশালা চালাতে এনজিও, গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহায্য নিতে হচ্ছে। সরকারের কাছে বাড়তি ১২৯ কোটি টাকার বাজেট চাওয়া হয়েছে।