হাওড়া: গত ৩-৪ দিন ধরে ছড়াচ্ছিল দুর্গন্ধ। বহুতলের বন্ধ ফ্ল্যাটের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেও মেলেনি সাড়া। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে বন্ধ ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে উদ্ধার করে বৃদ্ধ দম্পতির পচা-গলা দেহ।


বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলে পরিবারের কর্তা। পাশের ঘরের সোফায় পড়ে ছিলেন বৃদ্ধের স্ত্রীর পচা গলা দেহ। হাতের শিরা কাটা অবস্থায় উদ্ধার দম্পতির একমাত্র ছেলে। ডিপ্রেসনে বাবা-মাকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা ছেলের, এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের।


ঘটনাস্থল হাওড়ার শিবপুরের কইপুকুর লেন। বহুতলের চারতলার ফ্ল্যাটে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন একমাত্র ছেলে। পরিজন ও প্রতিবেশীদের দাবি, এমসিএ পাস করলেও কোনও কাজ করতেন না তিনি। সংসার চলত বৃদ্ধের পেনশনের টাকায়।


মৃত দম্পতির আত্মীয় জানান, আর্থিক অনটন ছিল। ছেলে এমসিএ পাশ করেও কোনও কাজ করত না। কারও সঙ্গে মিশত না ওঁরা। বুধবার সকাল থেকে এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা।


এক প্রতিবেশী বলেন, আমাদের ধারণা ছেলে বেকার ছিল বলে মানসিক অবস্থায় ভুগছিল। ওই ছেলেই বাবা-মাকে খুন করেছে বলে আমার ধারণা।


পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবা-মাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে ছেলে। বাবা-মাকে মেরে আত্মঘাতী হওয়ারও চেষ্টা করে ছেলে। অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে শিবপুর থানার পুলিশ।