নয়াদিল্লি: মৌনি অমাবস্যার ভয়ঙ্কর স্মৃতি পিছু ছাড়েনি এখনও। বহু মৃতদেহ এখনও শনাক্তই হয়নি। পুণ্যার্জনের আশায় সঙ্গমে যাওয়া বহু মানুষ আর ফিরতে পারেনি প্রাণ নিয়ে । বহু পরিবার চিরতরে হারিয়ে ফেলেছে প্রিয়জনকে। এরই মধ্যে আরেকটি অমৃত স্নানের তিথি এসে পড়ল । বসন্ত পঞ্চমী। আতঙ্কের স্মৃতি রয়ে গিয়েছে দগদগে ঘায়ের মতো। তারই মধ্যে আবারও ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ। তবে এবার অনেক সতর্ক যোগী-প্রশাসন। 

মহাকুম্ভে সোমবার বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে আরও একটি 'অমৃত স্নান'।  এবার আর যেন কোনও বিশৃঙ্খলা না তৈরি হয়,কোনও ভাবেই যেন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার ব্যবস্থা করেছে রাজ্যের প্রশাসন। মেলা কর্তৃপক্ষ আখড়াগুলি এখন প্রচণ্ড কড়া। সঙ্গমে সোমবারও ডুব দিলেন হাজার হাজার সাধু।   

বসন্ত পঞ্চমী এবারকুম্ভ মেলার তৃতীয় অমৃত স্নানের তিথি। এদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই  বিভিন্ন 'আখড়া'র সাধুরা স্নান শুরু করে দেন।  কুম্ভে ভোর ৪ টের সময়ই ডুব দিয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। উত্তরপ্রদেশ সরকারের হিসেব বলছে, শুধুমাত্র সোমবারই  ৫ কোটি ভক্তের আগমন ঘটতে পারে কুম্ভে। বসন্ত পঞ্চমীর দিনটিকেই হিন্দুশাস্ত্রে বসন্তকালের প্রথম দিন বলে মনে করা হয়। বাগদেবীর পায়ে আবির অর্পণ করে আবাহন জানানো হয় ঋতুরাজকে।               

বসন্ত পঞ্চমীর স্নান ঘিরে প্রবল কড়াকড়ির মধ্যেই দগদগে ঘায়ের মতো যন্ত্রণা দিচ্ছে মৌনী অমাবস্যার স্মৃতি। আবার আর যেন ছিটেফোঁটাও সমস্যা না হয়, তার জন্য সতর্ক মুখ্যমন্ত্রী। যোগী আদিত্যনাথ শনিবার থেকেই ব্যক্তিগতভাবে প্রস্তুতি পরিদর্শন করছেন।  নিরাপত্তা, চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে এদিন। মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হয় ১৪৪ বছর অন্তর। আর সেই মহাপুণ্যের উৎসবেই এবার ঘটে গিয়েছে মহাবিপর্যয়। আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে মানুষকেও।    

হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, বসন্ত পঞ্চমীতে স্নান এবং দানের জন্য খুবই শুভ। এদিন অনেকগুলি শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে। জ্যোতিষশাস্ত্রবিদদের মতো এগুলি বেশ বিরল। রবি যোগ ছিল সকাল ৭ টা ৮ পর্যন্ত।ব্রহ্ম মুহূর্ত ছিল সকাল ০৫:২৪ থেকে ০৬: ১৬ পর্যন্ত। এছাড়াও, অমৃত কাল হবে থাকবে প্রায় রাত ১০ টা পর্যন্ত। এছাড়াও অভিজিৎ মুহূর্ত তৈরি হচ্ছে দুপুর ১২:১৩ থেকে ১২ :৫৭ পর্যন্ত।