প্রয়াগরাজ : মৌনি অমাবস্যায় মহাকুম্ভে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাড়ল প্রাণহানির সংখ্যা। স্নানের জন্য হুড়োহুড়িতে ব্যারিকেড ভেঙে পদপিষ্ট হন বহু মানুষ। সেই ঘটনায় অনেকগুলি প্রাণ চলে যায়। চিকিৎসাধীন আরও অনেকে। কিন্তু, কতজনের প্রাণহানি হয়েছে ? সাংবাদিক বৈঠক করে সেই তথ্য সামনে আনলেন DIG মহাকুম্ভ বৈভব কৃষ্ণা। 


মৌনি অমাবস্যা মহাকুম্ভে দ্বিতীয় শাহি স্নানের পুণ্যযোগ। ভোর ৫টায় শাহি স্নানের কথা ছিল। গতকাল মাঝরাত থেকেই মহাকুম্ভের নানা ঘাটে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন। রাত ২টো নাগাদ সঙ্গমের কাছে ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে যায়। তার মধ্যেই অনেকে দৌড়তে শুরু করায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। তুমুল ধাক্কাধাক্কি, চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে বহু মানুষ আহত হন। গ্রিন করিডর করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রিয়জনের খবর জানতে হাসপাতালের সামনে উদ্বিগ্ন পরিজনেরা ভিড় করেন। মর্গের সামনেও জড়ো হন অনেকে। মহাকুম্ভের মেলা প্রাঙ্গণে প্রিয়জন হারানোর হাহাকার। 


ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন DIG মহাকুম্ভ বৈভব কৃষ্ণা। তিনি বলেন, "ব্রহ্ম মুহূর্তের আগে, মধ্যরাত ১টা থেকে ২টোর মধ্যে, বহু মানুষ জমায়েত করেছিলেন আখাড়া মর্গে। বিশাল সংখ্যক পুণ্যার্থী জড়ো হওয়ায় অপর দিকের ব্যারিকেড ভেঙে য়ায়। সেইসময় জনতা দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। অন্যদিকে, ব্রহ্ম মুহূর্তে পবিত্র ডুবের অপেক্ষায় থাকা মানুষজনের ওপর দিয়ে চলে যান। তারপর প্রায় ৯০ জনকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, দুর্ভাগ্যক্রমে তাঁর মধ্যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ৩০ জনের মধ্যে ২৫ জনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এঁদের মধ্যে ৪ জন কর্ণাটকের, ১ জন অসমের এবং একজন গুজরাতের।"


 






তিনি আরও জানান, স্থানীয় হাসপাতালে ৩৬ জনের চিকিৎসা চলছে। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুণ্য়ার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সমস্ত মহামণ্ডলেশ্বর, সাধু-সন্ত, আখাড়াদের পবিত্র স্নান একটু দেরিতে শুরু করার অনুরোধ জানিয়েছেন। আখাড়াদের অমৃতস্নান নিরাপদে শেষ হয়েছে।