নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের পুণেয় ভেঙে পড়ল সেতু। এখনও অবধি ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। দুর্ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন ৫।  ২৫ থেকে ৩০ জনের ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন, এবার এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসে উড়ানে বিভ্রাট, কলকাতামুখী বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি !

এদিন পুণের ইন্দ্রায়নী নদীর ওপর সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। উত্তাল নদীতে ভেসে গেলেন ২৫-৩০ জন পর্যটক। কয়েকজন পর্যটকের ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কুণ্ডমালা পারাপার করার জন্য সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে মৃত একাধিক। সেতুর ওপর ছিলেন বেশ কয়েকজন পর্যটক। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধার কাজে নেমেছে NDRF-এর ২টি দল। পুরনো জরাজীর্ণ সেতুতে কীভাবে এত পর্যটক ওঠার অনুমতি পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  

পুণেতে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে পোস্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 'পর্যটকদের তলিয়ে যাওয়ার খবর হৃদয়বিদারক। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই', প্রশাসনের কাছে দ্রুত উদ্ধারের আর্জি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, দেখুন দুর্ঘটনা নিশ্চয়ই দুর্ঘটনা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার অভ্যাষ, সেটা কিন্তু বিজেপির আছে। যখন কলকাতায় পোস্তা উড়ালপুর ভেঙে পড়েছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী এসে বলেছিলেন, অ্যাক্ট অব ফ্রড। তাহলে মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী ওখানে গিয়ে বলুন, বিজ্র ভেঙে পড়া বা গুজরাতের দুর্ঘটনা অ্যাক্ট অব ফ্রড।আমরা সবসময়েই মানি দুর্ঘটনা মানে দুর্ঘটনা, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতিটা তো বিজেপি করে, আর প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক বাণী আছে। তাহলে আশা করি মহারাষ্ট্রের ঘটনাতেও প্রধানমন্ত্রী একই কথা বলবেন।'

অপরদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, পোস্তার বিপর্যয়ের সঙ্গে পুণের সেতু বিপর্যয়ের কোনও সম্পর্ক আছে বলে আমাদের জানান নেই। পোস্তার বিপযয়ের পরে যে মানুষগুলি মারা গেছেন, যাদের পরিবার সর্বশান্ত হয়েছে, সেইসব পরিবারগুলির পাশে তৃণমূল কংগ্রেস কতটা দাঁড়িয়েছিল, সেটা মানুষের জানা। যাবার বেলায় এধরণের বিতর্ক থেকে নিজেকে, এবং দলকে দূরে রাখলে, তাঁদেরই ভাল হবে।

 

(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)