কনকনে ঠান্ডা তো কী হয়েছে ! বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে তাল মেলাতে শখ করে দিয়েছিলেন আইসক্রিমের অর্ডার।
ইন্সট্যান্ট ডেলিভারি অ্যাপ থেকে ‘মাইনাস থার্টি’ নামের মিনি স্টিক আইসক্রিম অর্ডার করেছিলেন মহুয়া। কিন্তু শখ মিটল না । আইসক্রিম হাতে পেয়েও খাওয়া হল না। কারণ ক্রিম তখন গলে জল ! এক কথায় এমন আইসক্রিম খাওয়ার অযোগ্য। ১২২০ টাকা দিয়ে আইসক্রিম অর্ডার দিয়ে খাওয়া হল না। আর তাতেই রেগে লাল কৃষ্ণনগরের সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন কড়া বার্তা।
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, 'মাইনাস থার্টি মিনি আইসক্রিম অর্ডার করেছিলাম। যখন এল,তখন তা আর খাওয়ার যোগ্য ছিল না। দ্রুত রিফান্ড বা রিপ্লেসমেন্ট চাই' । আর তাতেই ট্রোলের বন্যা বয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর আগেও মহুয়া মৈত্রর লক্ষাধিক টাকার হ্যান্ড ব্যাগ ও ফ্যাশনসই দামি সানগ্লাস নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। বিরোধীরাও সুযোগ পেলেই মহুয়া মৈত্রর শখ ও জীবনচর্যা নিয়ে খোঁচা দিয়ে থাকেন আর গলা মেলান ট্রোলাররা।
একজন লিখেছেন , 'CBI aasbe ekhon. Expensive ice cream' (সিবিআই আসবে এখন, এক্সপেনসিভ আইসক্রিম)। আবার একজন প্রশ্ন তুলেছেন, সমস্যাটা তো অ্যাপেই মিটিয়ে নেওয়া যেত, সোশ্যালে লেখার কী আছে ! তাতে আবার আরেক নেটিজেন লিখেছেন, 'আমি মনে করি এটাই ঠিক; কখনও কখনও, কোন সমাধান না হলে মানুষ হতাশ হয়। আমি এটা সমর্থন করি; এটি শুধুমাত্র একটি ব্যবসায়িক লেনদেন আলোচনা, তাই আমি বুঝতে পারছি না কেন সবাই জড়িত হচ্ছে!'
এই আলোচনা শুরু হওয়ার পর সুইগি-র তরফে রিপ্লাই আসে, 'Hi Mahua, sorry to know that you are facing an issue with your order. Please share the order number. We will look into it.' তবে মহুয়ার সমস্যা সমাধান হল কি না, এখনও জানা নেই।
সংসদে বিভিন্ন বিতর্কে মহুয়া মৈত্র বেশির ভাগ সময়ই সক্রিয়। তেমন বিভিন্ন বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও লেখালিখি করেন তিনি। বিভিন্ন সময় একাধিক বিতর্কেও অংশ নেন। এবার অবশ্য বিরোধী দল নয়, তাঁর নিশানায় ইন্সট্যান্ট ডেলিভারি অ্যাপ।