নয়াদিল্লি: বিতর্ক যেনও কিছুতেই ছাড়ে না পিছু। এযেনও শেষ হয়েও হইল না শেষ। মূলত ক্যাশ ফর কোয়ারি কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) করা মানহানির মামলাতে এবার নয়া মোড়। সেখানেও উঠে এল পোষ্যের প্রসঙ্গ। 


হিরানন্দানি গ্রুপের থেকে ঘুষ নিয়ে সংসদে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া মৈত্র। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও মহুয়া মৈত্ররই প্রাক্তন বন্ধু অনন্ত জয় দেহাদ্রাই। পাল্টা গোটাটাই প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও আদানি গোষ্ঠীর চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন মহুয়া মৈত্র। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও প্রাক্তন বনধু অনন্ত জয় দেহাদ্রাইয়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। বিচারক সচিন দত্তর এজলাসে আজ তাঁর শুনানি ছিল।


 সূত্রের খবর, মহুয়া মৈত্রর আইনজীবী গোপালশঙ্কর নারায়ণ বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা দু'জনের অভিযোগ সংক্রান্ত চিঠি যেন মিডিয়ার গোচরে না আনা হয়। সেই সময় বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের আইনজীবী হিরানন্দানি গ্রুপের সিইও দর্শন হিরানন্দানির চিঠির উল্লেখ করেন। আর এই বাদানুবাদের সময়েই এজলাসে চলে মহুয়া মৈত্রর প্রাক্তন বনধু অনন্ত জয় দেহাদ্রাই, যিনি আবার পেশায় আইনজীবীও।


সূত্রের খবর, মহুয়া মৈত্র আইনজীবী অনন্ত জয় দেহাদ্রাইকে বলেন, তিনি যদি CBI-কে করা মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন, তাহলে তার বিনিময়ে হেনরি নামের পোষ্য কুকুরটি তাঁকে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের এই বক্তব্য শুনে বিচারপতি বলেন, তিনি যদি আদালতের বাইরেই মধ্যস্থতা করবেন, তাহলে আদালতে এসেছেন কেন? ৩১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি।


 পোষ্য কুকুরকে নিয়ে দুই বন্ধুর টানাপোড়েন নতুন মোড় নিল।এবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদরি। তুললেন, পোষ্য কুকুর চুরির অভিযোগ। সূত্রের খবর, মহুয়া ও জয় একটাসময় দুজনে বন্ধু ছিলেন। পরে বন্ধুত্ব ভাঙে। দু-জনের বিবাদের বিষয়টি প্রথম সামনে আসে গত সেপ্টেম্বরে।


আরও পড়ুন, পুজো এবারেও কাটবে রাস্তাতেই,চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়


পুলিশ সূত্রে দাবি, বাড়িতে ঢুকে পোষ্য সারমেয়, রটওয়েলার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে, জয় অনন্তের বিরুদ্ধে দিল্লির বারাখাম্বা থানায় অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পরে, রটওয়েলার ফেরত দেন জয় অনন্ত। যার নাম হেনরি। পোষ্য় ফেরত পাওয়ার পর অভিযোগ তুলে নেন মহুয়া মৈত্র। দিল্লি হাইকোর্টে করা মামলাতেও এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন মহুয়া মৈত্র।