নয়াদিল্লি: সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, কেউ কাউকে আক্রমণ করতে ছাড়েন না। কিন্তু লোকচক্ষুর আড়ালে কেমন সম্পর্ক শাসক ও বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রীদের? নতুন করে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যার নেপথ্যে রয়েছে একটি ছবি। ওই ছবিতে একসঙ্গে নাচের রিহার্সালে দেখা গিয়েছে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের সাংসদদের। (Viral Photo)

Continues below advertisement

যে ছবিটিকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, তাতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেকে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছে। কোটিপতি বিজেপি সাংসদ, নবীন জিন্দলের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে নাচের অনুষ্ঠানের রিহার্সালে যোগ দিয়েছিলেন সকলে। ছবিটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। (Mahua Moitra-Kangana Ranaut)

রাজনীতিকদের মধ্যে বরাবর সৌজন্যমূলক সম্পর্ক দেখা গেলেও, বর্তমান সময়ে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে শাসক-বিরোধী সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন থেকে ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারেক তুলোধনা করতে ছাড়েন না বিরোধীরাও। বিজেপি-র তরফেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করা হয় বিরোধীদের। 

কিন্তু বাইরে যতটা দেখান, লোকচক্ষুর আড়ালে কি আদৌ বৈরিতা থাকে রাজনীতিকদের? এই প্রশ্ন আজকের নয়। তৃণমূল সাংসদ তথা তারকা অভিনেতা দেব আগেই জানিয়েছিলেন, যত বৈরিতা সব নীচুস্তরের কর্মীদের মধ্যেই। উপমহলে সকলের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই মহুয়া, কঙ্গনা, সুপ্রিয়াকে একফ্রেমে দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা।

নাচের রিহার্সালের ওই ছবি পোস্ট কের কেউ লেখেন, ‘মহুয়া মৈত্র, সুপ্রিয়া সুলে কঙ্গনার সঙ্গে নাচছেন, যিনি পঞ্জাবের কৃষকদের সন্ত্রাসবাদী বলেছিলেন। ধনকুবের বিজেপি সাংসদ নবীন জিন্দলের মেয়ের জন্য নাচের রিহার্সাল। এই দ্বিচারিতা স্পষ্ট এবং লজ্জাজনক’। আর একজন লেখেন, ‘দিনের বেলা বিরোধী, রাত হলে উদযাপনের সঙ্গী। এই জন্যই নাগরিকরা একাকী। যাঁরা কৃষকদের বিদ্রুপ করেন, দেশে বিভাজন ঘটান, ঘৃণা ছড়ান, ভিআইপি বিয়ে এলেই সবাই বন্ধু হয়ে যান’। তৃতীয় একজন লেখেন, ‘ক্য়ামেরা বন্ধ হলেই রাজনীতিকদের আসল চেহারা বোঝা যায়। সব আদর্শ মুছে যায়, বিশিষ্ট মহলে শামিল হন সকলে। যাঁরা কৃষকদের অপমান করেন, তাঁদের সঙ্গে নাচতে চলে যান। এতেই ওঁদের প্রাধান্। বোঝা যায়’। যদিও রাজনীতিকদের মধ্যে এমন সৌজন্য থাকা কাম্য় বলেও মতামত জানান অনেকে। 

২০০৪ সালে কংগ্রেসের টিকিটে সংসদে প্রবেশ করেন শিল্পপতি জিন্দল। ২০২৪ সালে বিজেপি-তে যোগ দেন তিনি। তাঁর মা সাবিত্রী দেবী হরিয়ানার প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনিও কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। নির্দল হিসেবেই হিসার বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন তিনি। পরে বিজেপি-কে সমর্থন জানান।