কলকাতা: চুপিসাড়ে বিয়ে সেরেছিলেন। ছবিও দিয়েছিলেন অনেক দেরিতে। এবার বিয়ের দিনের ভিডিও পোস্ট করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। স্বামী পিনাকি মিশ্রের সঙ্গে 'ফার্স্ট ডান্সে' ভিডিও পোস্ট করলেন মহুয়া। পশ্চিমি সংস্কৃতিতে বিয়ের পর পছন্দের গানের তালে পা মেলান নবদম্পতি। আজকাল ভারতীয় সংস্কৃতিতেও সেই রীতির আমদানি ঘটেছে। আর সেই রীতি মেনেই হাতে হাত রেখে প্রিয় গানের তালে পা মেলালেন মহুয়া ও পিনাকি। (Mahua Moitra Wedding)

নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে স্বামীর সঙ্গে নিজের 'ফার্স্ট ডান্সে'র ভিডিও পোস্ট করেছেন মহুয়া। ভিডিও-য়ে দেখা গিয়েছে, নববধু মহুয়ার পরনে বিয়ের শাড়ি। স্বামীও পিনাকিও বিয়ের পোশাকেই রয়েছেন। তাঁদের ঘিরে রয়েছেন অতিথিরা। ভিডিও-র ব্যাকগ্রাউন্টে একনাগাড়ে বেজে যাচ্ছিল মহম্মদ রফি ও আশা ভোঁসলের 'রাত কে হমসফর' গানটি। আর সেই গানের তালেই নাচেন তাঁরা। (Mahua Moitra Marriage)

সাবেকি সোনার গয়নার সঙ্গে ফ্যাকাশে গোলাপি রংয়ের বেনারসি সিল্ক পরে বিয়ে সারেন মহুয়া। রং মিলিয়ে পিচ রংয়ের ওয়েস্ট কোট পরেছিলেন পিনাকিও। মহুয়ার মাথায় জুঁইফুলের মালাও ছিল। মহুয়ার বিয়ের ছবি নিয়ে যেমন উৎসাহ ছিল, তেমনই ভিডিওটিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগীরা। কোনও রকম আড়ম্বর ছাড়া যেভাবে ব্যক্তিগত মুহূর্তকে ব্যক্তিগত রাখেন তাঁরা, তার প্রশংসাও করেন অনেকে।

৫০ বছর বয়সি মহুয়ার সঙ্গে ৬৫ বছরের পিনাকির বিয়ে নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। কিন্তু মহুয়া ও পিনাকি যে নিজেদের আলাদা জগৎ গড়ে ফেলেছেন, 'ফার্স্ট ডান্সে'র ভিডিও-তেও তা ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে যে গানটি তাঁরা বেছেছেন, তার প্রত্যেকটি পঙক্তি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রফি ও আশা গেয়েছিলেন, 'রাত কে হমসফর/থক কে ঘর চলে/ ঝুমি আ রহি সুবহ প্যায়র কি...'। সমালোচনা,. কটাক্ষ পেরিয়ে যথার্থ অর্থেই পরস্পরের আশ্রয় হয়ে উঠেছেন মহুয়া ও পিনাকি।

গত ৩ মে জার্মানির বার্লিনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মহুয়া ও পিনাকি। পিনাকি ওড়িশার বিজু জনতা দলের সদস্য়, পুরীর চারবারের সাংসদও। সুপ্রিম কোর্টের দুঁদে আইনজীবী হিসেবেও পরিচিত পিনাকি। মহুয়ার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে, ডেনমার্কের ফাইন্যান্সার লার্স ব্ররসনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু সেই বিয়ে বেশি দিন টেকেনি। পিনাকিও আগে বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রী সঙ্গীতার সঙ্গে এক ছেলে ও এক মেয়ে হয় তাঁর। এক সময় আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের সঙ্গে মহুয়ার সম্পর্ক নিয়েও জোর চর্চা ছিল লুটিয়েন্স দিল্লিতে। পোষ্যের উপর অধিকার নিয়ে আইনি টানাপোড়েনও হয় তাঁদের মধ্যে।

তবে পিনাকির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা টের পাননি কেউ। এমনকি বিয়ের কথা তৃণমূলের অনেকেও জানতেন না বলে খবর। তবে সকলেই শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন মহুয়াকে।