নয়াদিল্লি: রাজপথের (rajpath) নাম বদলাতে পারে, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ট্যুইটারে (twitter) সরব তৃণমূস (TMC MP) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (mahua moitra)। লিখলেন, 'এ সব কী হচ্ছে? ইতিহাস নতুন করে লেখার ঝোঁকে বিজেপি কি আমাদের সংস্কৃতি নতুন করে তৈরি করাটাকেই নিজেদের একমাত্র কর্তব্য বলে ঠিক করে নিয়েছে?' তৃণমূল সাংসদের এই ট্যুইটের পরই তুমুল হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়। 



কী সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের?
রাজপথ (Rajpath) ও সেন্ট্রাল ভিস্তা লনের (Central Vista lawn) নাম বদলে 'কর্তব্য পথ' (Kartavya Path) রাখতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, খবর এএনআই সূত্রের। প্রাথমিক ভাবে যা খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে নেতাজির মূর্তি (netaji statue) থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন (Rashtrapati bhavan) পর্যন্ত অংশটির নতুন নাম হতে চলছে 'কর্তব্য পথ'। সূত্রের খবর, ঔপনেবেশিক ভারতের সমস্ত চিহ্ন সরিয়ে ফেলতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। তারই অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


রাজপথের ইতিহাস...
'রাজপথ' কথাটির ইংরেজিতে অর্থ কিংস ওয়ে বা King's Way। এই নামকরণের নেপথ্যে ইতিহাস রয়েছে। ১৯১১ সালে ব্রিটেনের সম্রাট পঞ্চদশ জর্জ ভারতে এসেছিলেন। সেই বছরই ব্রিটিশ-ভারতের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পায় দিল্লি। আর তখনই রাস্তাটির নামকরণ হয়েছিল রাজপথ যা কিনা King's Way-র হিন্দি তর্জমা। সেন্ট্রাল ভিস্তা পুর্নউন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ওই সড়কেরই নাম হয়েছে 'সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভেনু'। এবার সেটিও বদলে ফেলতে পারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, এমনই দাবি এএনআই সূত্রে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতীক থেকে কিছু দিন আগেই 'কিংস ক্রস' সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের রাজমুদ্রা এসেছে সেই জায়গায়। কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাব তখনই কিছুটা স্পষ্ট হয়ে যায়। এবার নাম বদলাতে চলেছে রাজপথের। প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ নিয়ে বিপুল বিতর্কের সাক্ষী থেকেছে এই দেশ।


গত বছর নির্দেশ হাইকোর্টের...
করোনা আবহে নয়া সংসদ ভবন অর্থাৎ সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ চালু থাকা নিয়ে চাপানউতোর চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে। তবে গত বছর মে মাসে ওই কাজ বন্ধের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। বলে, 'সেন্ট্রাল ভিস্তা অপরিহার্য প্রকল্প', কাজেই তা থামানো যাবে না।' পাশাপাশি ওই মামলাকে 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতিরা। মামলাকারীকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়। উল্লেখ্য, নয়া সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর নয়া বাসভবন নির্মাণের এই প্রকল্পে খরচ হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার কোটি বেশি টাকার। এর বিরোধিতা করেছিলেন অনেকেই। প্রকল্প স্থগিত করার আবেদন জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। কাজ চালিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দেয় সুপ্রিম কোর্টও।


আরও পড়ুন:'ট্রেজারিতে টাকা আছে তো? রাতে ঘুমোতে পারি না, চিন্তা হয়,' রাজ্যের কোষাগার নিয়ে উদ্বেগ মুখ্যমন্ত্রীর