মুম্বই: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। যে তিন জন বাবা সিদ্দিকিকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়, তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত হিসেবে শিবকুমার গৌতমের নাম উঠে আসে তদন্তে। রবিবার উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ থেকে তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শিবকুমার নেপাল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে জানা গিয়েছে। আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, অনুরাগ কাশ্যপ, জ্ঞানপ্রকাশ ত্রিপাঠী, আকাশ শ্রীবাস্তব এবং অখিলেশেন্দ্র প্রতাপ সিংহ। শিবকুমারকে আশ্রয় দেওয়া এবং নেপালে পালাতে সাহায্য করার জন্য তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। (Baba Siddique Murder Case)


গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রায় দুষ্কৃতীরা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় বাবা সিদ্দিকিকে। ৬৬ বছর বয়সি বাবা সিদ্দিকি ছেলে জিশান সিদ্দিকির অফিস থেকে বেরোচ্ছিলেন। সেই সময় এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। শিবকুমার এতদিন অধরা ছিলেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযানে নেমে রবিবার বাহরাইচের নানপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে যে তিনজন গুলি চালায়, তাদের মধ্যে অন্যতম শিবকুমার। সরাসরি বিশ্নোই গ্যাংয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার। তার মাধ্যমেই বাকিরা তথ্য পেত। (Lawrence Bishnoi)


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা সিদ্দিকিকে খুনের পর মধ্যপ্রদেশের ওমকারেশ্বরে পালিয়ে যায় শিবকুমার। সেখানে বিশ্নোই গ্যাংয়ের এক সহযোগীর সঙ্গে দেখা করে। ওমকারেশ্বরে তার নাগাল পাওয়ার চেষ্টা চালায় মুম্বই পুলিশ। কিন্তু একটুর জন্য বেরিয়ে যায় শিবকুমার। জিজ্ঞাসাবাদে শিবকুমার বিশ্নোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে খবর। জানিয়েছে, লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোল বিশ্নোই বিদেশ থেকে যেমন নির্দেশ দেয়, তা অনুসরণ করেই বাবা সিদ্দিকিকে খুন করে তারা।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা সিদ্দিকিকে খুন করতে ৯.৯ মিমি পিস্তল ব্যবহার করেছিল শিবকুমার। বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে ছ'রাউন্ড গুলি চালায় সে। বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোয় যে তিন জনের নাম উঠে আসে, তারা সকলেই গ্রেফতার হল পুলিশের হাতে। বাবা সিদ্দিকিকে খুনের দায় আগেই স্বীকার করেছিল বিশ্নোই গ্যাং। জিজ্ঞাসাবাদে শিবকুমার জানিয়েছে, আনমোলের সঙ্গে তার যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল শুভম লোঙ্কার। শুভম লরেন্সের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। 


এর আগে, মুম্বই পুলিশ জানিয়েছিল, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আনমোলের। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Snapchat-এ কথা হত তাদের। বাবা সিদ্দিকির ছেলে, মহারাষ্ট্রের বিধায়ক জিশানের ছবিও খুনিদের দেখানো হয়। ভুয়ো পাসপোর্ট বানিয়ে দেশ ছাড়ে আনমোল। গত বছর কেনিয়া এবং চলতি বছরে কানাডায় তাকে দেখা যায়। এর আগে, সিধু মুসেওয়ালা খুনেও নাম জড়ায় তার।