নয়াদিল্লি: ছুটির দরখাস্ত করেছেন কর্মী। দেখেই ভিরমি খেলেন CEO. ছুটির দরখাস্ত না পদত্যাগপত্র, বুঝতে সময় লাগল অনেকটাই। নিজেই সেই দরখাস্ত পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, যা নজর কেড়েছে অনেকেরই। তবে অধিকাংশই দরখাস্ত লেখার ধরনে উচ্ছ্বসিত। (Viral News)

গুরুগ্রামের Talk & Target সংস্থার CEO তথা প্রতিষ্ঠাতা সৌম্যাা গর্গ বিষয়টি সামনে এনেছেন। ছুটির দরখাস্ত হিসেবে কৃতিকা সিংহ নামের এক কর্মী  ইমেলে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁকে। সেই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন সৌম্যা। জানিয়েছেন, চিঠির শৈলী তাঁকেও চমকে দেয়। কৃতিকা তাঁর সংস্থার সিনিয়র কপিরাইটার বলেও জানিয়েছেন সৌম্যা। (Viral Leave Application)

যে চিঠি সামনে এনেছেন সৌম্যা, তাতে চিঠির বিষয়বস্তু অর্থাৎ Subject-এর জায়গায় লেখা রয়েছে, ‘ম্যায়ঁ তো জা রহি হুঁ’।  বাংলায় তর্জমা করলে হয়, ‘চললাম আমি’। এর পর চিঠিতে লেখা হয়, ‘আপনাকে জানাতে চাই যে, শেষ পর্যন্ত পাহাড়ের ডাক পেয়েছি। ওয়র্ক ফ্রম হোম করব। আগামি বৃহস্পতিবার সকালে এক ঘণ্টা আগে কাজে বসব, কাজ শেষ করব ৬.৩০টায়। পরের দিন ছুটি, ২৭ জুন’।

চিঠিতে আরও লেখা রয়েছে, ‘সাপ্তাহিক কাজ কী ভাবে সাজাব, তা নিয়ে আরিয়ানের সঙ্গে কথা বলে নেব। থ্যাঙ্ক ইউ কিউটিজ, শুভরাত্রি’। সৌম্যা জানিয়েছেন, চিঠিটি খোলার পর পদত্যাগপত্র বলেই মনে হয়েছিল তাঁর। কিন্তু পড়ে বুঝতে পারেন পাহাড়ে বেড়াতে যেতে ছুটি চেয়েছেন কৃতিকা। 

সৌম্যা জানিয়েছেন, পেশাদার জগতে ইমেলের ভাষাও কাঠ কাঠ হয়। কিন্তু ছুটির ওই দরখাস্তটি সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। তাই চিঠিটি পেয়ে মন ভাল হয়ে যায় তাঁর। অন্যরাও ছুটির দরখাস্তটির প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে, পেশাদার জগতে সকলের ভাল থাকা জরুরি, ইতিবাচক পরিবেশ জরুরি, কথাবার্তা সহজ হওয়াই কাম্য। কৃতিকা সেই কাজটিই করেছেন বলে মত নেটিজেনদের। সংস্থার কর্তাদেরও প্রশংসা করেছেন অনেকে। তাঁদের মতে, সিনিয়ররা বন্ধুর মতো বলেই ওই ভঙ্গিতে ইমেল লেখার সাহস পেয়েছেন কৃতিকা।

গত ২৫ জুন চিঠিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সৌম্যা। অনেকেই ওই পোস্টে কমেন্ট করেছেন, সেটি শেয়ারও করেছেন অনেকে। তবে এসবের মধ্যে কৃতিকা নিজেও ওই পোস্টে মন্তব্য করেছেন। সৌম্যাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সৌম্যা জানিয়েছেন, তাঁদের অফিসের সংস্কৃতি এবং পরিবেশ খুব ভাল। 

তবে হাসি-ঠাট্টা হলেও, কৃতিকা ও সৌম্যা, দু'জনই স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করেন বলে একমত নেটিজেনরা। তাঁদের মতে, কর্তৃপক্ষের কাছে মতামত জানানোর সুযোগ রয়েছে বলেই ওই ইমেল পাঠাতে পেরেছেন কৃতিকা। কেউ কেউ জানান, অফিস মানেই সারাক্ষণ ডেডলাইন, টার্গেট নয়, তার বাইরেও চাওয়া-পাওয়া রয়েছে। কখনও কখনও সব ছেড়ে চলে 'ব্রেক' নেওয়ার ইচ্ছে হতেই পারে। কৃতিকার সেই সিদ্ধান্তকে যে কর্তৃপক্ষ সম্মান জানিয়েছেন, তাও চোখে পড়ার মতো।