নিউ ইয়র্ক : বিশ্বজুড়ে হঠাৎই নেটবিভ্রাট। যার ব্যাপক প্রভাব ভারতেও। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে একাধিক সংবাদমাধ্যম থেকে সরকারি ওয়েবসাইট, বসে গিয়েছে সবই। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মার্কিন ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিসের প্রোভাইডারে সমস্যার জেরেই এই বিপত্তি।


ঠিক কোন কোন ওয়েবসাইট প্রভাবিত হয়েছে সেটা আলাদা করে এখনই জানা না গেলেও সংখ্যাটা যথেষ্টই। জানা যাচ্ছে, মার্কিন ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিসের প্রোভাইডার ফাস্টলিতে সমস্যা হয়। ঠিক কী কারণে এই সমস্যার উদ্ভব তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার একাধিক ইউজার ইতিমধ্যে সেখানে হওয়া সমস্যার কথা জানিয়েছেন, একাধিক সংবাদসংস্থার ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন ডেলিভারির সাইট, সবেতেই দেখা গিয়েছে সমস্যা। যদিও খুব বেশিক্ষণ ধরে সমস্যা স্থায়ী হয়নি, অল্প সময়ের পরই আস্তে আস্তে কার্যত সব সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকে ওয়েবসাইট, সবকিছুরই সার্ভিস ফিরে আসে আগের মতো।


গত ২০ মার্চ হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম একসঙ্গে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হঠাৎই। আর সেবারের মতোই এবারও একাধিক ওয়েবসাইট বন্ধ  হতেই ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপে নির্ভরশীলতা বেড়েছে। তাই হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপ স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। ট্য়ুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। একের পর এক মিম শেয়ার করতে থাকেন ব্যবহারকারীরা। মেসেজ আদান প্রদান বন্ধ হওয়ায় সমস্যা পড়েন বিশ্বের বহু মানুষ। জানা গিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ ট্যুইট হয়েছে।


দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে হোয়াটসঅ্যাপ। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এই অবস্থায় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে। কী হয়েছে? কেন কাজ করছে না হোয়াটসঅ্যাপ? তা বুঝতেই বেশ কিছুটা সময় কেটে যায় গ্রাহকদের। একরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর এই অবস্থায় হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা ট্যুইট করতে থাকেন। দেখা যায়, শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের একাধিক প্রান্তেই এই সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা।